খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

বরিশালে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চলছে ইলিশ নিধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:২৪ অপরাহ্ণ
বরিশালে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চলছে ইলিশ নিধন

নিষেধাজ্ঞা দিয়েও বরিশালে থামানো যাচ্ছে না ডিমওয়ালা মা ইলিশ নিধন। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর চার দিনের মাথায় হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় মেঘনা নদীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মৌসুমি জেলেরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মা ইলিশ শিকার করছেন তাঁরা। এমনকি মৎস্য কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ডের অভিযানে হামলার মতো ঘটনাও ঘটছে।

মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেছেন, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, বাবুগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল সদরে মা ইলিশ রক্ষার তৎপরতার চেয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানের নামে প্রদর্শনীতে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন। এসব এলাকার কীর্তনখোলা, আড়িয়াল খাঁ, সুগন্ধা, মেঘনা, কালাবদর, গজারিয়া, তেঁতুলিয়া নদীতে এরই মধ্যে নেমে পড়েছেন শত শত জেলে। মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এক দিকে অভিযান করলে অপর দিকে ইলিশ ধরায় চলছে মহোৎসব।

ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় এত চেষ্টার পরও সফলতা আসছে না। ট্রলিং বোট, সাগরের মুখে জাল, বিদেশি বোট এবং বাণিজ্যিক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা—এই চার কারণে ইলিশ উৎপাদন গত বছর প্রায় ৪০ হাজার টন কমে গেছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযানকারী দলের ওপরে দা, লাঠি নিয়ে হামলা করেছেন একদল জেলে। বিকেলে মেঘনার আলীগঞ্জ অংশে এ হামলায় মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলমসহ তিনজন আহত হন। এ সময় সাত জেলেকে আটক করা হয়।

হিজলা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানিয়েছেন, অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারের সময় মৎস্য কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ডের যৌথ উদ্যোগে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার বিকেলে অভিযানকারী দলের ওপর দা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান জেলেরা। এতে তিনিসহ কোস্ট গার্ডের কয়েক সদস্য আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীসংলগ্ন জানপুর, নাচোকাঠি, ওড়াকুল, আবুপুর, গঙ্গাপুর, আলীগঞ্জ, মেঘনার বাহেরচরে সবচেয়ে বেশি মা ইলিশ নিধন চলছে। শক্তিশালী ইঞ্জিনের ট্রলার ছুটে চলছে এসব এলাকায়। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, স্পিডবোট এবং ড্রোনের প্রদর্শনী চালিয়ে মা ইলিশ রক্ষা করা যাবে না।

হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার হেলাল উদ্দিন জানান, তাঁর ইউনিয়নসংলগ্ন মেঘনায় দিনরাত জেলেরা ইলিশ নিধন করছেন। নদীতীরের বাগানে ও বরজের মধ্যে মাছ বেচাকেনা হয়। নদীতে জাল ফেলে ওপরে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। জেলেরা তীরে অবস্থান করেন। প্রশাসনের স্পিডবোট ঘুরে গেলেও তাঁরা নদীতে জাল দেখতে পান না। চলে যাওয়ার পরই ইলিশবোঝাই জাল তোলা হয়।

এসব প্রসঙ্গে জানতে হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমকে গতকাল বুধবার বিকেলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।

একই ঘটনা ঘটছে মেঘনা, কালাবদর, মাসকাটা, গজারিয়া নদীবেষ্টিত মেহেন্দীগঞ্জে। স্থানীয়দের তথ্যমতে, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দড়িরচর খাজুরিয়া, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজার, লেংগুটিয়া বাজার, সিন্নিরচর বাজার, চরগোপালপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার, রাস্তার মাথা, আমিরগঞ্জ বাজার, চরএককরিয়া ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার, উত্তরচর মাছঘাট, চর ইলিশা মাছঘাট, আলীগঞ্জ বাজার, ভাসানচর ইউনিয়নের বাগোরজা ঘাট, খলিশার পাড়, উলানিয়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কালীগঞ্জ বাজার, বুড়িরপোল বাজারে প্রকাশ্যে মা ইলিশ বিক্রি চলছে।

মেহেন্দীগঞ্জের মৎস্য কর্মকর্তা ওমর সানি জানান, জেলেদের নৌকা খালের মধ্যে থেকে এসে হামলা করে ফের খালে ঢুকে যায়। প্রশাসনের স্পিডবোট আকারে বড় হওয়ায় খালে ঢোকার সুযোগ নেই। আগামী মৌসুমে খালের মুখ বন্ধ করার প্রস্তাব করা হবে।

জাতীয় ক্ষুদ্র জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল মীর বলেন, ‘ইলিশ নিধনকারী জেলেদের পেছনে প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। আটকের পর জেলেদের ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দিলে জামিনের ব্যবস্থা ও জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন প্রভাবশালীরা।’

 

ওষুধে মরছে না মশা, অতিষ্ঠ নগরবাসী

রাসেল হোসেন ॥
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:৫৬ অপরাহ্ণ
ওষুধে মরছে না মশা, অতিষ্ঠ নগরবাসী

মশার ভনভন শব্দে অতিষ্ঠ বরিশাল নগরবাসী। পুরাতন ওষুধ দিয়ে মশা নিধন করছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)। এতে মরছে না মশা। ফলে বরিশাল নগরীতে বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। দিনে রাতে সমানে চলছে মশার অত্যাচার। নগরজীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে মশা। পাশাপাশি বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বরিশাল সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুরানো নিম্ন মানের ওষুধ দিয়ে বর্তমানে মশা মারা হচ্ছে। ফলে ঠিকমত মরছে না মশা। সর্বশেষ মশা নিধনের ওষুধ সরবরাহের দায়িত্বে ছিল নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড। বর্তমানে এই কোম্পানির সরবরাহকৃত ওষুধ সিটি করপোরেশনের কাছে নেই। ফলে এর আগের সরবরারকৃত কোম্পানি ঢাকার নাস কাডিল গ্রুপের তুলানামূলক নিন্মমানের পুরানো ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে নগরীর কাউনিয়া, নথুল্লাবাদ ও রূপাতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় মশার উৎপাত আগের থেকে বেড়ে গেছে। বাসিন্দারা বলছেন, সন্ধ্যার পর বাসায় বসা যায় না। মশার কামড়ে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না।

রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম বলেন, ফগিং মেশিনে ধোঁয়া ছিটায় ঠিকই, কিন্তু মশা তাতে মরে না। বরং ধোঁয়াটা এসে চোখে লাগে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই ধরনের ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে মশার মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তাই ওষুধ পরিবর্তন ও মশা নিয়ন্ত্রণ কৌশলে বৈচিত্র্য আনা দরকার।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন শাখার কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের সরবরাহকৃত ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য পুরানো ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন ওষুধ আসলে সেটাই ব্যবহার করা হবে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল বারী বলেন, মশা নিধনের নতুন ওষুধের জন্য টেন্ডার কল করা হয়েছে। অতি দ্রুত নতুন মশা মারার ওষুধ পেয়ে যাব।

শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ, আত্মপক্ষ সমর্থন ১৭ নভেম্বর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:১৪ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ, আত্মপক্ষ সমর্থন ১৭ নভেম্বর

পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে এই মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৭ নভেম্বর তারিখ ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ-৫–এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালত আজ সোমবার এই তারিখ ধার্য করেন।

আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাতকে আসামি খুরশীদ আলমের আইনজীবী শাহিন উর রহমান জেরা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা শেষ হওয়ায় আইনানুযায়ী আদালত আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের তারিখ ধার্য করেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দিন মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, শেখ হাসিনা ছাড়াও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ হয়েছে। আর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আংশিক জেরা হয়েছে।

এই তিন মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি খুরশীদ আলমের পক্ষে আইনজীবী শাহিন উর রহমান জেরা করেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের পক্ষে জেরার সুযোগ নেই। ১৭ নভেম্বর জয়ের মামলায় বাদীর সাক্ষ্য ও জেরার দিন, আর পুতুলের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জেরার তারিখ ধার্য করেন আদালত।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম জানান, জয়ের মামলায় ২৮ ও পুতুলের মামলায় ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নামে বরাদ্দ নেওয়া প্লটের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সেদিন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন জানিয়েছিলেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর সড়কের আশপাশের এলাকায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলে-মেয়ের নামে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে আলাদা ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অন্য মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সব কটি মামলায় গত ১০ মার্চ অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় দুদক।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকার সময় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তাঁরা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হলেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ছয়টি প্লট তাঁদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। এর পর থেকে শেখ রেহানা ও তাঁর তিন ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে করা আলাদা তিন মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এসব মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আসামি।

পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন, বলছে পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন, বলছে পুলিশ

পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত ব্যক্তির বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র প্রথম আলোকে বলছে, নিহত ব্যক্তির নাম তারিক সাইফ মামুন (৫৫), তিনি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে।

পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি একসময় আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন, তবে অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

আরও পড়ুন

গাড়ি থেকে নামলেন, ৬ থেকে ৭টি গুলি, পড়ে গেলেন রক্তাক্ত মামুন

গাড়ি থেকে নামলেন, ৬ থেকে ৭টি গুলি, পড়ে গেলেন রক্তাক্ত মামুন

তারিক সাইফ মামুনের জাতীয় পরিচয়পত্র
তারিক সাইফ মামুনের জাতীয় পরিচয়পত্রছবি: পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া

গুলির ঘটনার সিসিটিভির একটি ভিডিও ফুটেজ প্রথম আলোর হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। তখন দুই ব্যক্তি খুব কাছে থেকে তাঁকে গুলি করছেন। ঘটনাটি ঘটে তিন থেকে চার সেকেন্ডের মধ্যে। গুলি করার পর দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

মামুনের পরিবার বলছে, তিনি দুই দিন ধরে রাজধানীর বাড্ডার ভাড়া বাসায় ছিলেন। আজ সকালে একটি মামলায় আদালতে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। এ জন্য তিনি সকালে বাসা থেকে বের হন।

মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ধারণা করছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের লোকজন এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও ইমনের লোকজন মামুনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত ব্যক্তির স্বজনের আহাজারি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত ব্যক্তির স্বজনের আহাজারিছবি: প্রথম আলো

পুলিশ জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও মামুন একসময় হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাঁদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তাঁরা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, মামুনের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। তাঁর জন্ম ১৯৭০ সালে।

রাজধানীর কোতোয়ালি থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াসিন বলেন, গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে যান। গিয়ে দেখেন, এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন

পুরান ঢাকায় হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে স্বজনের আহাজারি। আজ সোমবার সকালে

প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, দুজন ব্যক্তি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের প্রবেশমুখে এসে ওই ব্যক্তিকে (মামুন) পেছন থেকে গুলি করেন। বেশ কয়েকটি গুলি করার পর ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর গুলি করা ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল পালিয়ে যান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।