খুঁজুন
রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

পাইলটের বাবা-মাকে বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে নেওয়া হলো ঢাকায়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
পাইলটের বাবা-মাকে বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে নেওয়া হলো ঢাকায়

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকায় বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের নিহত পাইলট তৌকির ইসলাম সাগরের রাজশাহীর বাড়ির সামনে ভিড় করছেন প্রতিবেশী ও স্বজনেরা। স্বজনদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আর তৌকিরের পরিবারের সদস্যদের বিকেলে রাজশাহী থেকে বিমানবাহিনীর উড়োহাজাজে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

তৌকিরের পরিবার প্রায় ২৫ বছর ধরে রাজশাহী নগরের উপশহরে ভাড়া থাকেন। এখন যে বাসায় থাকেন, সেটির নাম ‘আশ্রয়’। এটি উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ২২৩ নম্বর বাসা। এ বাসায় তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন ও বোন বৃষ্টি খাতুন থাকেন।

বাসার সামনে ছিলেন নিহত পাইলটের মামা রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, বিকেলে র‌্যাবের একটি গাড়ি এসে নিহত পাইলট তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, বোন বৃষ্টি খাতুন, বৃষ্টির স্বামী তুহিন ইসলাম ও মামা মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে গেছে। বিকেলে রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (র.) বিমানবন্দর থেকে বিমানবাহিনীর একটি বিমানে তাঁদের ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। তৌকিরের স্ত্রী ঢাকায় সরকারি কোয়ার্টারেই থাকেন।

রফিকুল বলেন, ‘এ রকম ভালো ছেলে আমি আর দেখিনি। সেই ছেলেকে এভাবে হারিয়ে ফেলব বুঝিনি।’ স্বজনেরা জানান, তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা করেন। প্রায় ২৫ বছর আগে থেকেই তিনি রাজশাহীতে বসবাস করেন।

তৌকির রাজশাহীর নিউ গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনার পর পাবনা ক্যাডেট কলেজে ৩৪তম ব্যাচে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ২০১৬ সালে তিনি ক্যাডেট কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। বছরখানেক আগে তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার। তৌকিরেরা দুই ভাই-বোন। ছোট বোন বৃষ্টি খাতুন রাজশাহীর বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

তৌকিরের মৃত্যুর খবর শুনে বাড়ির সামনে এসেছেন পাবনা ক্যাডেট কলেজের তাঁর প্রশিক্ষক মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সে খুব মেধাবী ছিল। ভীষণ মিশুক ও শান্ত ছেলে ছিল। তার কথা এখন খুব মনে পড়ছে। সে ছোটদের স্নেহ ও বড়দের সম্মান করতে জানত।’

তৌকির ইসলাম রাজশাহীর সপুরায় গেল বছর থেকে তিনতলা একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। বাড়িটির কাজ এখনও চলমান। সেই বাড়িতে আর ওঠা হলো না তাঁর।

বরিশালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

রাসেল হোসেন:
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৫৬ অপরাহ্ণ
বরিশালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

 

 

  • # প্রয়োজনীয় অনেক জলজ প্রানী ও উদ্ভিদ মারা যায়

  • # বিষ দিয়ে শিকার মাছ খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে

 

বরিশালের বিভিন্ন নদী, খাল, বিল ও জলাশয়ে অসাধু চক্র বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। গত এক মাসে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া, বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর, উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় একাধিকবার বিষ দিয়ে মাছ শিকারের ঘটনা ঘটেছে।  কীটনাশক প্রয়োগের ফলে শুধু মাছ নয়,   ব্যাঙ, শামুক, কাঁকড়াসহ পুরো জলজ পরিবেশ হুমকিতে রয়েছে।

 

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলা, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ,বাবুগঞ্জ, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদী, খাল ও বিলে রাতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে অসাধু চক্রগুলো। কিছু জেলেরা রাতের বেলা প্রান্তিক এলাকায় গিয়ে নদীর একটি বিশেষ স্থানের পানিতে বিষ মিশিয়ে দেয়। ১ থেকে দু ঘণ্টা পর মাছেরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক মাছ মারাও যায়। মাছেরা অসুস্থ হয়ে পানিতে ভেসে বেড়ায়। এ সময় জাল দিয়ে অসুস্থ এবং মৃত মাছগুলোকে তুলে আনেন তারা। এই বিষ কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদ নদীর পানিতে মিশে যায়।  এতে নদ নদীর মাছ সহ জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। বিষ ঢুকছে  মানুষের খাদ্যশৃঙ্খলেও । বিষ দিয়ে শিকার মাছ খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে ।

 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বিষ দিয়ে পানি বিষাক্ত করে শিকার করা মাছ খেলে মানুষের পেটের পীড়াসহ কিডনি ও লিভারে জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিষ দিয়ে শিকার মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

 

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ না হলে জলজ প্রাণবৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব পড়বে।

 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন,   বীষ প্রয়োগ পরিবেশের উপর সরাসরা আঘাত হানে। পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলে। এটি টক্সিক পদার্থ। এতে শুধু মাছ মারা যায় না, প্রয়োজনীয় অনেক জলজ প্রানী ও উদ্ভিদ মারা যায়। পানির গুনাগুন নষ্ট হয়। এই পানি চাষের জন্য ব্যবহার করলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া বিষ বাতাসের সাথে মিশে বয়স্করা শ্বাসককষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের তথ্য আমার জানা নেই। সুনিদিষ্ট  অভিযোগ বা তথ্য পেলে অবশ্যই মৎস সুরক্ষা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে।

 

পশ্চিম তীরের ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
পশ্চিম তীরের ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল

অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করা ইহুদিরা তাঁদের একটি ধর্মীয় উৎসব উদ্‌যাপন করছেন। এ কারণে হেবরনের ওল্ড সিটিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য কারফিউ জারি করেছে ইসরায়েল। এমনকি ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের সেখানকার ঐতিহ্যবাহী ইব্রাহিমি মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সমাজকর্মীরা গতকাল শনিবার এ তথ্য জানান।

ওল্ড সিটি অব হেবরনের বাসিন্দা আরেফ জাবের হেবরন ডিফেন্স কমিটির একজন সদস্য। তিনি তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুকে বলেন, গত শুক্রবার সকাল থেকে ইসরায়েলি সেনারা হেবরনের ওল্ড সিটির বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করে রেখেছেন।

আরেফ জাবের আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ওল্ড সিটিতে যাওয়ার সব সামরিক তল্লাশিচৌকি বন্ধ করে দিয়েছে। সেখান থেকে কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছে না। ফলে সেখানকার বাসিন্দা অনেক ফিলিস্তিনি নিজ বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে হেবরনের অন্যান্য অংশে থাকা স্বজনদের বাড়িতে থাকছেন তাঁরা।

 

জাবের আরও বলেন, অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী কয়েক শ ইহুদি শুক্রবার রাতে শোভাযাত্রা করে ওল্ড সিটিতে প্রবেশ করেন। গতকাল রাতে আবার তাঁরা একইভাবে শোভাযাত্রা নিয়ে ওল্ড সিটিতে যান। ইসরায়েলি বাহিনী এ শোভাযাত্রাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়েছে। হেবরনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় শোভাযাত্রা থেকে নানা উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়।

 

অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী কয়েক শ ইহুদি শুক্রবার রাতে শোভাযাত্রা করে ওল্ড সিটিতে প্রবেশ করেন। শনিবার রাতে আবার তাঁরা শোভাযাত্রা নিয়ে ওল্ড সিটিতে যান। ইসরায়েলি বাহিনী ওই শোভাযাত্রাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়েছে।

জাবেরের আশঙ্কা, ইসরায়েল কারফিউ জারি করে ইব্রাহিমি মসজিদের সম্পূর্ণটা দখল করে সেটিকে সিনাগগে রূপান্তর করতে চাইছে। এ চেষ্টার অংশ হিসেবে তারা কারফিউ জারি করে সেখানে মুসলিমদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

১৯৯৪ সালে ইসরায়েল মসজিদ কমপ্লেক্সটি ভাগ করে। এটির ৬৩ শতাংশ ইহুদিদের জন্য ও ৩৭ শতাংশ মুসলমানদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে সময় একজন ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ২০ ফিলিস্তিনি মুসল্লিকে হত্যা করেছিলেন।

ইসরায়েল বছরে ১০ দিন মুসলিমদের জন্য ইব্রাহিমি মসজিদ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখে। এ সময়ে ইহুদিরা ধর্মীয় উৎসব উদ্‌যাপন করেন।

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০০ অপরাহ্ণ
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ

রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোর থেকেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা শাটডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দাবিতে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করেন।

অবরোধকারীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে ও অন্যান্য স্থানে গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে দূরপাল্লার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন এবং দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এইচএসসি–আলিম পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম জানান, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ডাসার ও কালকিনি অংশে সাত–আটটি স্থানে গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। “আমি ঘটনাস্থলে চারটি ককটেলের অবশিষ্টাংশ দেখতে পেয়েছি। তবে কোথাও কোনো বিক্ষোভ বা অবরোধ কর্মসূচির উপস্থিতি পাইনি,” তিনি উল্লেখ করেন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সড়ক থেকে গাছ অপসারণ এবং নাশকতা মোকাবিলায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। ডাসারের অংশে গাছ সরানো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কালকিনির অংশে বড় গাছ পড়ে থাকায় কিছুটা সময় লাগছে। দ্রুতই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে বলে জানান ওসি।