খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ, ১৪৩২

গৌরনদীতে বিএনপির আয়োজনে শহীদদের স্মরণসভা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৭:৪২ অপরাহ্ণ
গৌরনদীতে বিএনপির আয়োজনে শহীদদের স্মরণসভা

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান যেদিন মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করার জন্য রাজাকার-আল বদর বাহিনী তৈরি করা হয়েছিলো। যারা রাজাকার-আল বদরের দায়িত্ব পালন করেছেন এদেশের মানুষ তাদের ভুলে নাই।

বুধবার দুপুরে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির আয়োজনে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডস্থ অডিটোরিয়ামে ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে নিহত জুলাই-শহীদসহ সকল শহীদদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা। শেষে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করা হয়।

পরে গৌরনদী উপজেলা ও পৌর এবং আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ সরোয়ার আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির আহবায়ক দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান খান মুকুল, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির সাজ্জাদ হান্নান, বশির আহম্মেদ পান্না, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সফিকুর রহমান স্বপন।

পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক কামরুজ্জামান খোকন। প্রতিনিধি সভায় দুই উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন শেবাচিমের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৪৪ অপরাহ্ণ
কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন শেবাচিমের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

দেশের সব সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসাসেবায় অবহেলা এবং স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলনের মধ্যেই শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের উপস্থিতিতে হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বরিশালের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক অঙ্গনের প্রতিনিধিসহ সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাত দফা দাবি পেশ করে এ আল্টিমেটাম দেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধি নাজমুল হুদা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন যে কারণে হচ্ছে, সে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার আমরাও চাই। তবে সেটি অবশ্যই যৌক্তিক পথে যৌক্তিকভাবে হোক। তবে আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট ভোগান্তি আমরা সাপোর্ট করতে পারছি না।

তিনি বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বিকেল ও রাতে সিনিয়র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে রোগীর সেবা দিয়ে থাকেন। তবে সম্প্রতি সময়ে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। যেখানে গত ৩ আগস্ট শিশু বিভাগে দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের ওপর মব তৈরির মাধ্যমে হয়রানির ঘটনা ঘটে এবং ওয়ার্ডে ভাঙচুর করা হয়।

এরপর ৬ আগস্ট সার্জারি ইউনিট-৩ এ রোগীর ছাড়পত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার লোকজন চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায়। ১০ আগস্ট সার্জারি-২ ইউনিটে ভর্তি না হয়েও জোরপূর্বক চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এভাবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে ৮টি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো হয়।

তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং নিয়মিত কাজের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং চিকিৎসকরা সঠিকভাবে দায়িত্বপালনে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অবস্থায় ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। এ দাবিগুলোর বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না পেলে এবং চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা হয়রানির শিকার হলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাবে।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো হলো- ১. কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ২. অ্যাডমিশন এবং পোস্ট অ্যাডমিশন ওয়ার্ডে আনসার সদস্যদের দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ৩. হাসপাতালে দর্শনার্থী প্রবেশ দর্শনার্থী কার্ডের মাধ্যমে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একজন রোগীর সঙ্গে একজন দর্শনার্থী থাকতে পারবে; ৪. হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং ক্যাজুয়ালটি বিভাগকে কার্যকর এবং উন্নত করা; ৫. হাসপাতালের সব পরীক্ষা নিরীক্ষা ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

যেসব পরীক্ষা চালু নেই সেগুলো দ্রুত চালুর ব্যবস্থা করা; ৬. হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; ৭. হাসপাতালের বেড সংখ্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে বেড সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এদিকে ইন্টার্নদের এমন আল্টিমেটামের হুঁশিয়ারির পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও মানুষের সেবায় কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি সাধনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে, সুতরাং সময় দিতে হবে।

 

অনশনরত ছাত্রদের চিকিৎসার জন্য ২টি মেডিকেল টিম গঠন করলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
অনশনরত ছাত্রদের চিকিৎসার জন্য ২টি মেডিকেল টিম গঠন করলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

হাসপাতালের সামনে অনশনরত ছাত্রদের চিকিৎসার জন্য ২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর। আজ বুধবার দুপুরে মেডিসিন বিভাগের আরপি ডা. শরীফ উদ্দিন রায়হান কে প্রধান করে এই পৃথক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।

মেডিকেল টিমের অপর সদস্যরা হলেন, মেডিসিন ৩ নং ইউনিটের আইএমও ডা. সপ্না বেগম, মেডিসিন ২ নং ইউনিটের আইএমও ডা. মেহেদী হাসান সৃজন, মেডিসিন ২ নং ইউনিটের আইএমও ডা. দিলিপ রায়, মেডিসিন ১ নং ইউনিটের আইএমও ডা. মো. আবু নোমান, মেডিসিন ৩ নং ইউনিটের আইএমও ডা. মো. সালেহ উদ্দীন ও মেডিসিন ৩ নং ইউনিটের আইএমও ডা. সাজ্জাদ উজ্জামান।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। গঠিত মেডিকেল টিমকে হাসপাতালের সামনে অনাশনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্র-জনতার সার্বিক চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে অনশনে বসে শিক্ষার্থী তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান ও সাফিন মাহমুদ সহ অন্যান্যদের হাসপাতালের ভিতরে ওয়ার্ডে নিয়ে চিকিৎসার চেষ্টা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা হাসপাতালের মূল গেট থেকে ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য যাবেন না বলে জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে ওই স্থলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে ফ্যান, ফোম, স্যালাইন স্ট্যান্ডসহ স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, অনাশনরত শিক্ষার্থীদের ওয়ার্ডে এনে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। তারা ওয়ার্ডের বেডে চিকিৎসা নিলে সুস্থ থাকবেন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের ওয়ার্ডের আনার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি তাদের জন্য ৮ সদস্যের ২টি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন ভাবেই হাসপাতালের গেটের সামনে থেকে ওয়ার্ডে আসতে চাচ্ছে না।

বামনায় বিষখালী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার

বামনা প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
বামনায় বিষখালী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার

বরগুনার বামনা উপজেলার ০৩ নং রামনা ইউনিয়নের রামনা লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকার শরীফ বাড়ির সামনে বিষখালী নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ উদ্ধার করেছে বামনা থানা পুলিশ।

উদ্ধারকৃত মৃত ব্যক্তি সন্তোষ চন্দ্র বাড়িক (৭৮)। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের মৃত ধন্যবাদ সুরেন চন্দ্র বাড়িকের পুত্র।

জানা যায় সন্তোষ চন্দ্র বাড়িক গত ১০-০৮-২০২৫ ইং তারিখ হইতে নিখোঁজ হলে এ বিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরিবারের ভাষ্যমতে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে ভারসাম্যহীন ছিল।

বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুন অর রশীদ হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার ১২ আগস্ট সাড়ে চারটায় লাশের খবর পেয়ে সঙ্গীও ফোর্স পাঠিয়ে সন্তোষ চন্দ্র বারিক নামে এক ব্যক্তির লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় । এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে এবং লাশ বরগুনা মর্গে পাঠিয়ে পোস্টমর্টেম করে আইন অনুযায়ী পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।