খুঁজুন
রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৮:১২ অপরাহ্ণ
একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা

আল্লাহতায়ালা মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করেছেন। তাই জীবনের সবক্ষেত্রে মানুষ আল্লাহর মুখাপেক্ষী।

এটা কোরআনেরও কথা। তাই মানুষের কর্তব্য হলো, সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহতায়ালার কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করা এবং যাবতীয় অকল্যাণ থেকে মুক্তি চাওয়া। কেননা তিনি মানুষকে তার কাছে প্রার্থনা করতে বলেছেন এবং তা কবুল করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে হাদিসে কুদসিতে বলা হয়েছে, ‘বান্দা যখন আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করে আমি অবশ্যই তাকে তা দেই। আর যখন আমার কাছে আশ্রয় চায়, আমি তাকে আশ্রয় দান করি। ’

বিশেষজ্ঞ আলেমদের অভিমত হলো, আল্লাহতায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা শ্রেষ্ঠতম ইবাদত। যে যত বেশি আল্লাহর ইবাদতকারী, সে তত বেশি তার আশ্রয় গ্রহণকারী। তাই দেখা গেছে, দুনিয়ায় প্রেরিত নবী-রাসূলরা আল্লাহর কাছে বেশি বেশি আশ্রয় চাইতেন। বিখ্যাত অলি-আউলিয়াদের অভ্যাসও এমন ছিল। এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, হজরত নুহ (আ.) বলেন, ‘হে আমার রব! আমার জানা নেই এমন কোনো বিষয় প্রার্থনা করা থেকে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় চাচ্ছি। ’ -সূরা হুদ : ৪৭

কোরআনের বিভিন্ন জায়গায়, আলাদা আলাদাভাবে হজরত ইউসুফ (আ.), হজরত মুসা (আ.) ও হজরত মরিয়ম (আ.)-এর ঘটনা বিবৃত হয়েছে। ওই সব ঘটনায় দেখা যায়, তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন সময়ে, নানাবিধ সমস্যা-সঙ্কটে মহান আল্লাহর আশ্রয় লাভে বিনম্র প্রার্থনা করেছেন।

শেষ নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বদা আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। তিনি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষায় আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। এ মর্মে কোরআনে কারিম ও হাদিসে অসংখ্য আয়াত, দোয়া ও বাক্য বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দারিদ্র্য, কুফুরি, শিরকি, নেফাকি, যশ-খ্যাতি ও লোক দেখানো ইবাদত থেকে পানাহ চাই। ’ –সহিহ বোখারি

দরিদ্রতা ও মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ- উভয়ই অকল্যাণের বাহন। তাই নবী করিম (সা.) এসবের খারাবি ও অনিষ্টতা থেকেও আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। দুনিয়া ও জীবন-মরণের ফেতনা এবং দুশ্চিন্তা, পেরেশানি থেকে আল্লাহর কাছে নামাজ শেষে পানাহ চাইতেন। উপকারবিহীন জ্ঞান, ভয়ভীতিহীন অন্তর, অতৃপ্ত হৃদয় এবং প্রত্যাখ্যাত দোয়া থেকে আল্লাহর আশ্রয় কামনা করতেন। তিনি সাহাবিদেরও আল্লাহর কাছে আশ্রয় গ্রহণের জন্য উৎসাহ দিতেন এবং এতদসংক্রান্ত বিভিন্ন দোয়া শেখাতেন। মানুষ হিসেবে আমাদেরও উচিৎ এমন অভ্যাসের অনুগামী হওয়া।

এ কথা সর্বজনবিদিত যে, শয়তান মানুষের চির শত্রু। মানুষের ক্ষতি ও অনিষ্ট সাধনে সে সদা তৎপর। শয়তান মানুষের ঘুমের আঁধারেও ক্ষতিসাধনে সচেষ্ট থাকে। তাই শয়তানের যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে বাঁচতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ অতি প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, হে প্রভু! আমি তোমার কাছে শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি। ’ -সূরা মোমিনুন: ৯৭

উপরোক্ত আয়াত ছাড়াও আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমের সর্বশেষ দুইটি সূরা অবতীর্ণ করেছেন। যেখানে জিন ও মানব শয়তানের অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। এভাবেই দয়াময় আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় সৃষ্টি মানুষকে শয়তানের ধোঁকা ও খপ্পর থেকে বাঁচাতে নানা উপায় বলে দিয়েছেন। চিন্তাশীল ও বুদ্ধিমান মানুষের জন্য এসবে রয়েছে শিক্ষা।

 

বরিশালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

রাসেল হোসেন:
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৫৬ অপরাহ্ণ
বরিশালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

 

 

  • # প্রয়োজনীয় অনেক জলজ প্রানী ও উদ্ভিদ মারা যায়

  • # বিষ দিয়ে শিকার মাছ খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে

 

বরিশালের বিভিন্ন নদী, খাল, বিল ও জলাশয়ে অসাধু চক্র বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। গত এক মাসে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া, বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর, উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় একাধিকবার বিষ দিয়ে মাছ শিকারের ঘটনা ঘটেছে।  কীটনাশক প্রয়োগের ফলে শুধু মাছ নয়,   ব্যাঙ, শামুক, কাঁকড়াসহ পুরো জলজ পরিবেশ হুমকিতে রয়েছে।

 

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলা, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ,বাবুগঞ্জ, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদী, খাল ও বিলে রাতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে অসাধু চক্রগুলো। কিছু জেলেরা রাতের বেলা প্রান্তিক এলাকায় গিয়ে নদীর একটি বিশেষ স্থানের পানিতে বিষ মিশিয়ে দেয়। ১ থেকে দু ঘণ্টা পর মাছেরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক মাছ মারাও যায়। মাছেরা অসুস্থ হয়ে পানিতে ভেসে বেড়ায়। এ সময় জাল দিয়ে অসুস্থ এবং মৃত মাছগুলোকে তুলে আনেন তারা। এই বিষ কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদ নদীর পানিতে মিশে যায়।  এতে নদ নদীর মাছ সহ জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। বিষ ঢুকছে  মানুষের খাদ্যশৃঙ্খলেও । বিষ দিয়ে শিকার মাছ খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে ।

 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বিষ দিয়ে পানি বিষাক্ত করে শিকার করা মাছ খেলে মানুষের পেটের পীড়াসহ কিডনি ও লিভারে জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিষ দিয়ে শিকার মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

 

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ না হলে জলজ প্রাণবৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব পড়বে।

 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন,   বীষ প্রয়োগ পরিবেশের উপর সরাসরা আঘাত হানে। পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলে। এটি টক্সিক পদার্থ। এতে শুধু মাছ মারা যায় না, প্রয়োজনীয় অনেক জলজ প্রানী ও উদ্ভিদ মারা যায়। পানির গুনাগুন নষ্ট হয়। এই পানি চাষের জন্য ব্যবহার করলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া বিষ বাতাসের সাথে মিশে বয়স্করা শ্বাসককষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের তথ্য আমার জানা নেই। সুনিদিষ্ট  অভিযোগ বা তথ্য পেলে অবশ্যই মৎস সুরক্ষা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে।

 

পশ্চিম তীরের ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
পশ্চিম তীরের ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল

অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করা ইহুদিরা তাঁদের একটি ধর্মীয় উৎসব উদ্‌যাপন করছেন। এ কারণে হেবরনের ওল্ড সিটিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য কারফিউ জারি করেছে ইসরায়েল। এমনকি ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের সেখানকার ঐতিহ্যবাহী ইব্রাহিমি মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সমাজকর্মীরা গতকাল শনিবার এ তথ্য জানান।

ওল্ড সিটি অব হেবরনের বাসিন্দা আরেফ জাবের হেবরন ডিফেন্স কমিটির একজন সদস্য। তিনি তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুকে বলেন, গত শুক্রবার সকাল থেকে ইসরায়েলি সেনারা হেবরনের ওল্ড সিটির বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করে রেখেছেন।

আরেফ জাবের আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ওল্ড সিটিতে যাওয়ার সব সামরিক তল্লাশিচৌকি বন্ধ করে দিয়েছে। সেখান থেকে কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছে না। ফলে সেখানকার বাসিন্দা অনেক ফিলিস্তিনি নিজ বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে হেবরনের অন্যান্য অংশে থাকা স্বজনদের বাড়িতে থাকছেন তাঁরা।

 

জাবের আরও বলেন, অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী কয়েক শ ইহুদি শুক্রবার রাতে শোভাযাত্রা করে ওল্ড সিটিতে প্রবেশ করেন। গতকাল রাতে আবার তাঁরা একইভাবে শোভাযাত্রা নিয়ে ওল্ড সিটিতে যান। ইসরায়েলি বাহিনী এ শোভাযাত্রাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়েছে। হেবরনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় শোভাযাত্রা থেকে নানা উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়।

 

অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী কয়েক শ ইহুদি শুক্রবার রাতে শোভাযাত্রা করে ওল্ড সিটিতে প্রবেশ করেন। শনিবার রাতে আবার তাঁরা শোভাযাত্রা নিয়ে ওল্ড সিটিতে যান। ইসরায়েলি বাহিনী ওই শোভাযাত্রাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়েছে।

জাবেরের আশঙ্কা, ইসরায়েল কারফিউ জারি করে ইব্রাহিমি মসজিদের সম্পূর্ণটা দখল করে সেটিকে সিনাগগে রূপান্তর করতে চাইছে। এ চেষ্টার অংশ হিসেবে তারা কারফিউ জারি করে সেখানে মুসলিমদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

১৯৯৪ সালে ইসরায়েল মসজিদ কমপ্লেক্সটি ভাগ করে। এটির ৬৩ শতাংশ ইহুদিদের জন্য ও ৩৭ শতাংশ মুসলমানদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে সময় একজন ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ২০ ফিলিস্তিনি মুসল্লিকে হত্যা করেছিলেন।

ইসরায়েল বছরে ১০ দিন মুসলিমদের জন্য ইব্রাহিমি মসজিদ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখে। এ সময়ে ইহুদিরা ধর্মীয় উৎসব উদ্‌যাপন করেন।

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০০ অপরাহ্ণ
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ

রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোর থেকেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা শাটডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দাবিতে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করেন।

অবরোধকারীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে ও অন্যান্য স্থানে গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে দূরপাল্লার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন এবং দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এইচএসসি–আলিম পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম জানান, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ডাসার ও কালকিনি অংশে সাত–আটটি স্থানে গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। “আমি ঘটনাস্থলে চারটি ককটেলের অবশিষ্টাংশ দেখতে পেয়েছি। তবে কোথাও কোনো বিক্ষোভ বা অবরোধ কর্মসূচির উপস্থিতি পাইনি,” তিনি উল্লেখ করেন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সড়ক থেকে গাছ অপসারণ এবং নাশকতা মোকাবিলায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। ডাসারের অংশে গাছ সরানো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কালকিনির অংশে বড় গাছ পড়ে থাকায় কিছুটা সময় লাগছে। দ্রুতই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে বলে জানান ওসি।