খুঁজুন
রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

আদিরূপে ফিরবে ঐতিহ্যবাহী লাকুটিয়া জমিদারবাড়ি

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
আদিরূপে ফিরবে ঐতিহ্যবাহী লাকুটিয়া জমিদারবাড়ি

আদিরূপে ফিরবে লাকুটিয়া জমিদারবাড়িমেরামতের কাজ চলছে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী লাকুটিয়া জমিদারবাড়িতে। বরিশালের ঐতিহ্যবাহী লাকুটিয়া জমিদারবাড়িতে সংস্কারের কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। ধসপ্রায় এই ভবনে সংস্কারের কাজ শেষ হলে পর্যটকরা বরিশালের ঐতিহ্যবাহী জমিদারবাড়িটি দেখতে আসবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার লাকুটিয়ায় অবস্থিত জমিদারবাড়ির সংস্কারকাজ গত ৪ মে শুরু হয়েছে। জমিদারবাড়ির উচ্চতা আট দশমিক ২০ মিটার, দৈর্ঘ্য ২৫ দশমিক ৪০ মিটার ও প্রস্থ নয় দশমিক ২০ মিটার। দোতলা ভবনে মোট নয়টি কক্ষ। দোতলা ভবনটির চারপাশে পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে গোলাকার ইটের পিলার। একইসঙ্গে দো ও নিচতলার ছাদ মেরামতের কাজ চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ছোটবেলা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখে আসছি লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি। এত বছর পর এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, সংস্কার হলে প্রচুর দর্শনার্থী এই অঞ্চলে আসবে। এতে জমিদারি ইতিহাসও সংরক্ষণ হবে।

বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরের সহকারী কাস্টোডিয়ান আরিফুর রহমান জানান, প্রথম পর্যায়ে ৬০ লাখ ৬৫ হাজার নয়শ ৩৫ টাকা ব্যয়ে ভবনের ভিত্তি, ইটের গাঁথুনি ও ছাদে নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। প্রাচীন দরজা-জানালা, মেঝে এবং আলো-বাতাস চলাচলের কাঠামো আপাতত এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত নয়। এগুলো পরবর্তী ধাপে যুক্ত করা হতে পারে।

সংস্কৃতিজন সুশান্ত ঘোষ বলেন, লাকুটিয়া জমিদার বরিশালের একটি ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবারই ছিল না, তারা এ অঞ্চলের সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য একটা অংশ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সঙ্গে তাদের আত্মীয়তার সূত্র ছিল এবং বিশ্বখ্যাত লেখক অরুন্ধতী রায়ও এই পরিবারের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ইতিহাসের জায়গা থেকে তিনশ বছরের পুরোনো লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি বরিশাল অঞ্চলে জনগণের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অন্যতম কেন্দ্র ছিল, যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান করে প্রশিক্ষণসহ ওই অঞ্চলে যুদ্ধের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সফিউর রহমানকে এক চিঠিতে জমিদারবাড়ির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ আদালতের সলিসিটার ও জমিদার পরিবারের উত্তরাধিকারী পঙ্কজ রায়ের কন্যা আলপনা রায়।

চিঠিতে তিনি ভবনটিকে একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের জোর দাবি জানান। তার এই চিঠির ভিত্তিতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বরিশাল জাদুঘরকে প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দেয়। লেখক ও গবেষক আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, বরিশালের উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে লাকুটিয়া জমিদারদের অবদান ছিল, যে কারণে তাদের আধুনিক বরিশালের রূপকারও বলা হতো। বরিশাল মহানগরের প্রতিষ্ঠা, বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য তাদের অবদান ছিল। তৎকালীন সময়ে মেইল স্টিমার সার্ভিসের একটি স্টেশন জমিদারদের কল্যাণে লাকুটিয়ার কাছাকাছি শায়েস্তাবাদেও ছিল। শিক্ষা বিস্তারেও তাদের এ অঞ্চলে অবদান ছিল।

সার্বিকভাবে লাকুটিয়া জমিদারবাড়ি সংরক্ষণের সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে বরিশালবাসী। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) গোডাউন ও ট্রাক্টর রাখার ঘর থাকায় ভবনটির নান্দনিকতা ব্যাহত হচ্ছে। তাই সেগুলো দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে লাকুটিয়া জমিদারবাড়ির আঙিনা ও চারপাশ ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা হলে সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে ফুটে উঠবে।

উল্লেখ্য, জমিদার রূপচন্দ্র রায় ছিলেন লাকুটিয়া জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তার নাতি রাজচন্দ্র রায়ের সময় জমিদারির পরিধি ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তথ্যানুযায়ী ২১ দশমিক ৩৪ একর জমির ওপর জমিদার বাড়ির অবস্থান। যা ১৬ থেকে ১৭ শত খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি নির্মাণ করা হয়েছিল। জমিদার বাড়ির সামনে পাঁচটি ও পেছনে আটটি মঠ ছিল। ইট-পাথর ও সুড়কির বানানো জমিদারবাড়ির বেশিরভাগ স্থাপনাই আট ও দোচালার তৈরি। বাংলা নিউজ

বরিশালে হাফভাড়া নিয়ে শ্রমিক-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত ৪০

এইচ আর হীরা
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:০০ অপরাহ্ণ
বরিশালে হাফভাড়া নিয়ে শ্রমিক-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত ৪০

 

  • অর্ধশতাধিক বাসে ভাঙচুর

  • আগুন–অবরোধে অচল মহাসড়ক

বরিশালে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া প্রাপ্যতা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অর্ধশতাধিক বাসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় মহাসড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন তারা।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এ সংঘর্ষ শুরু হয়, যা রাত ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম।

শ্রমিক নেতা আরজু মৃধা জানান, কলেজ বন্ধের দিন হাফভাড়া নিয়ে এক বাস শ্রমিকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর বিতণ্ডা বাঁধে। পরে ব্রজমোহন কলেজের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়ে থাকা অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর করে এবং শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে বহু শ্রমিক আহত হন বলে দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে বিএম কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, মুলাদী থেকে বরিশাল আসার পথে এক শিক্ষার্থী হাফভাড়া চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বাস শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে তারা বাসস্ট্যান্ডে সমবেত হয়ে শ্রমিকদের বিচারের দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, দাবি জানাতে গেলে উল্টো শ্রমিকরাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

ওসি মামুন উল ইসলাম বলেন, “শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে শান্ত করতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা কাজ করছি।”

রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাস ও সড়ক অবরোধের কারণে নথুল্লাবাদ এবং সংলগ্ন সড়কগুলোতে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে।

ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নিয়েছে।

বাজার জাটকা ইলিশে সয়লাব , প্রশাসনের নেই তদারকি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:১৭ অপরাহ্ণ
বাজার জাটকা ইলিশে সয়লাব ,  প্রশাসনের  নেই তদারকি

বরিশালের বাকেরগঞ্জে মাছের বাজারগুলো এখন জাটকা ইলিশে সয়লাব। প্রশাসনের অবহেলায় মাছের বাজারে মিলছে এসব জাটকা ইলিশ। ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের কম আকারের ইলিশকে ‘জাটকা’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আকারের ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে জেল-জরিমানার তোয়াক্কা করছেন না উপজেলার জেলে ও বিক্রেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি মাছবাজারেই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ছয় থেকে সাত ইঞ্চি আকারের জাটকা ইলিশ। উপজেলার এমএ বাড়ি বাজারে নিলামের মাধ্যমে জাটকা বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জাটকা বিক্রি বন্ধে বাজারগুলোতে মৎস্য অফিস ও প্রশাসনের তদারকি নেই। তাই জেলেরা শিকার করে প্রকাশেই এসব জাটকা হাটবাজারে এনে বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জাটকা বিক্রি হচ্ছে উপজেলার নাকের ডগায় এমএ বাড়ি মাছবাজারে। নদী থেকে মাছ এনে ডালায় ঢেলে ডাক তোলেন আড়তদাররা। ডাকের মাধ্যমে মাছ কিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে বসে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এ ছাড়া উপজেলার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পৌর বাজারে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বাজারে জাটকা মাছ বিক্রি করতেও দেখা গেছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। তবে এ সময় জাটকা বিক্রি বন্ধে প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় জেলে নির্মল বলেন, জেলেরা কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা মাছ ধরেন। তারা সেই মাছ বাজারে বিক্রি করেন।

বাকেরগঞ্জ পৌর বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্বাস সরদার বলেন, অন্য মাছ ব্যবসায়ীরাও জাটকা বিক্রি করেছেন। প্রশাসন যদি জাটকা শিকার বন্ধ করে দিতে পারে, তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।

জাহিদ মোল্লা নামে একজন জানান, উপজেলার তুলাতলি, কারখানা, পান্ডব, রাঙামাটি, বিষখালি নদীতে জাটকা শিকার করে স্থানীয় আড়ত ও হাট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি বছর প্রশাসন কিছু কিছু অভিযান চালালেও এবার এখনো কোনো অভিযান চোখে পড়েনি। দ্রুত জাটকা নিধন বন্ধের দাবি জানান তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। যখন তখন অভিযান করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি খোঁজ নিয়েছি, নিয়মিত নদীতে জাটকা নিধন ও বাজারে সেগুলো বিক্রি হচ্ছে। দ্রুতই আমরা হাটবাজারে অভিযান পরিচালনা করব।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি হচ্ছে বিষয়টি জেনেছি। খুব দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে এবং তা বহাল থাকবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই আট মাস জাটকা আহরণ, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে বড় আকারের ইলিশ ধরতে কোনো বাধা নেই।

অপসোনিন শ্রমিকদের বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
অপসোনিন শ্রমিকদের বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

চাকরি পুনর্বহালসহ দুই দফা দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন অপসো স্যালাইন ফার্মার ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা। শনিবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১২টা থেকে বরিশাল নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শত শত যাত্রীকে।

শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা ও এস এল ফার্মা লিমিটেডে পরিশ্রম করে আসছেন। প্রথমে দৈনিক বেসিক রুলে প্রতিদিন ২২০ টাকার হাজিরায় কাজ করার পর প্রতিষ্ঠানটি তাদের মাস্টাররোলে অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় হঠাৎ করেই ৫৭০ জন শ্রমিককে বিনা নোটিশে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেয়া হয়। এতে শ্রমিকদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

শ্রমিকরা বলেন, আমাদের ছাঁটাই করে কোম্পানি নতুনভাবে ১২০০ শ্রমিক নিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছে। এটা স্পষ্টভাবে আমাদের সঙ্গে অন্যায় ও ষড়যন্ত্র।

বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে অপসো স্যালাইন ফার্মার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এ কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।