গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় এক বয়স্ক নারী ও তাঁর ছেলেসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, গতকাল বেইত লাহিয়া, জাবালিয়া ও জেইতুনে হামলায় এই প্রাণহানি হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক নারী ও তাঁর ছেলেও আছেন। গাজা নগরীতে তাঁদের দুজনকে একটি ইসরায়েলি ড্রোন তাড়া করে হামলার নিশানা বানায়।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের পৃথক হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের দাবি, ওই তিনজন ‘ইয়েলো লাইন’ অতিক্রম করেছিলেন। এটি একটি অচিহ্নিত সীমারেখা। গত ১০ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েল নিজেদের সেনাদের এ সীমারেখায় প্রত্যাহার করে নেয়। সীমারেখার নামটি ইসরায়েলের দেওয়া।
গাজা নগরী থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেছেন, ইয়েলো লাইন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে থাকা ওই নারী ও তাঁর ছেলেকে একটি কোয়াডকপ্টার ড্রোন তাড়া করেছিল। ড্রোনটি অনবরত তাঁদের মাথার ওপর ওড়াউড়ি করছিল। এ জন্য কেউ তাঁদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। পরে রক্তক্ষরণে মারা যান তাঁরা।
হানি মাহমুদের মতে, এটি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত ৫০ দিনে ইসরায়েলের চুক্তি লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনার একটি নজির মাত্র। তিনি আরও বলেন, ওই রেখার কাছাকাছি এলাকায় থাকা অনেক ফিলিস্তিনি অজান্তেই সেই সীমা অতিক্রম করে ফেলতে পারেন। কারণ, রেখাটি চোখে দেখা যায় না। এটি যে যুদ্ধবিরতির সীমারেখা এবং চলাচল সীমিত ও বিপজ্জনক এলাকা—সেটি বোঝানোর মতো কোনো স্পষ্ট চিহ্ন বা দিকনির্দেশক নেই।
এদিকে গতকাল ইসরায়েলি বাহিনী গাজা নগরীর পূর্ব দিকে শুজাইয়ায় কিছু আবাসিক ভবন ও জনপরিষেবা অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। ট্যাংক, হামলাকারী ড্রোন ও স্থলবাহিনী নিয়ে বড় ধরনের এ হামলা চালানো হয়। এতে সেখান থেকে অনেক ফিলিস্তিনি পালাতে বাধ্য হন।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ । ৬:৩৫ অপরাহ্ণ