বরিশালের বাজারে শীতের আগাম সবজি আসছে দেরিতে , সরবরাহও কম

রাসেল হোসেন:
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫ । ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
  • # বর্ষা দীর্ঘায়িত হওয়ায় আগাম সবজি উৎপাদন ব্যাহত

  • #  চারা লাগানো সবজি নিয়ন্ত্রিত যায়গায় উৎপাদন করতে হবে

শীত মৌসুম শুরু হলেও বরিশালের বাজারে আগাম শীতের সবজি তুলনামূলক আসছে দেরিতে। এবার সরবরাহও কম। এজন্য দামও বেশি। খুচরা বাজারে অধিকাংশ সবজির কেজি ৭০ টাকার বেশি। কিছু সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে।

সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করে। কিন্তু এবার বরিশালের বাজারে অক্টোবরে শীতের সবজি আসতে শুরু করে। তবে অন্য বছরের থেকে কম। বরিশালে বাজারে বাঁধাকপি, ফুলকপি,  শিম, গাজর, মুলা, শালগমসহ শীতের আগাম সবজি যশোর, ঝিনাইদাহ, চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলো থেকে সরবরাহ হয়। স্থানীয়ভাবে সামান্য পরিমানে সরবরাহ হয়ে থাকে। তবে এবারের মৌসুমে স্থানীয়ভাবে লাউ ছাড়া অন্য কোন সবজি সরবরাহ হয়নি।  স্থানীয়ভাবে সবজির অন্যতম উৎপাদনস্থল বাবুগঞ্জ উপজেলা চাঁদপাশা ইউনিয়নের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, সেপ্টেম্বর অক্টোবর জুড়ে বৃষ্টি থাকায় এবার আগাম সবজি একটু দেরিতে চাষ হয়েছে। এ জন্য খেত থেকে সবজি তুলতেও দেরি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর শীতের আগাম সবজি আসতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগছে। এ কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে গত এক সপ্তাহে বাজারে ফুলকপি, শিমসহ শীতের আগাম কিছু সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

বরিশাল বহুমুখী সিটি পাইকারি কাঁচাবাজারের আড়ৎদার দুলাল মিয়া বলেন, এ বছর প্রথমবার যখন শীতের আগাম ফসলের জন্য লাগানো চারা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। সে কারনে শীতের আগাম সবজির দাম তুলনামূলক বেশি।  অক্টোবরের বাজার চড়া থাকলেও এখন কিছুটা কমে গেছে।

কৃষিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের টানা বৃষ্টি চলতি বছর আগাম সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ডক্টর নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, এবছর বর্ষা মৌসুম দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রথমদিকে যারা আগাম সবজি উৎপাদনের জন্য বীজ রোপন করে তাদের অনেকেরই চারা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আগাম সবজি কম উৎপাদন হয়েছে। আশা করছি নভেম্বরের শেষ দিকে থেকে শুরু করে ডিসেম্বর জানুয়ারীতে বাজারে পর্যাপ্ত সবজি থাকবে  ।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী বলেন, এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসেও প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। কৃষক শীতের আগাম সবজির জন্য মাঠ প্রস্তুত করতে পারেনি । আবার যেটুকু তৈরি করেছিল তাও বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। সমস্যা সমাধানে যেসব সবজির চারা উৎপাদন করে লাগানো সেগুলোকে নিয়ন্ত্রিত যায়গায় তৈরি করতে হবে যাতে বৃষ্টিতে নষ্ট না হয়। তাতে কৃষক উপকৃত হবে। বাজারে আগাম সবজির সরবরাহ বাড়বে।

প্রকাশক ও সম্পাদক: মেহেরুন্নেছা বেগম।  কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক আজকের বার্তা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন