দক্ষিণাঞ্চলে কমেছে আবাদি জমি , তবে বেড়েছে ফসল উৎপাদন

রাসেল হোসেন:
প্রকাশের সময়: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫ । ৬:২৯ অপরাহ্ণ
  • # পরিকল্পিত নগরায়ন কৃষির জন্য আর্শীবাদ হতে পারে

  • #দেশীয় প্রযুক্তির সাথে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় করতে হবে

দক্ষিণাঞ্চলে আশঙ্কাজনকহারে আবাদি জমি কমছে । নগরায়ণ, লবণাক্ততা, নদী ভাঙনে কমছে কৃষি জমি। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত, ঝড়-ঝঞ্জা, খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস কৃষি খাতকে বহুমুখী ঝুঁকিতে ফেলেছে বরিশাল অঞ্চলকে। গত ৫ বছরে আবাদি জমি কমেছে ২৪ হাজার হেক্টর। তবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে একই জমিতে দুই বা তিন বার ফসল ফলানোর ফলে উৎপাদন বেড়েছে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, আবাদযোগ্য জমি কমলেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দুই বা তিন ফসলিতে খাদ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে ৮ লাখ ১৪ হাজার ৯শ ৬৮ হেক্টর আবাদি জমি। আর অনাবাদি রয়েছে ৩২ হাজার হেক্টর জমি।তবে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অনাবাদি জমিও ফসল উৎপাদন তথা শাক-সবজি উৎপাদনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী বলেন, নগরায়নকে কৃষির আওতায় আনার সুযোগ আছে। পরিকল্পিত নগরায়ন কৃষির জন্য আর্শীবাদ হতে পারে। বিল্ডিংয়ে ছাদে বাগান করতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলে কিন্তু নতুন নতুন চর জাগে। যার ফলে একদিকে কৃষি জমিও বাড়ে। বসতবাড়ি কৃষির জন্য থ্রেড না। দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিবিহীন বাড়ি নাই। বাড়ির আঙিনায় কৃষির প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে যাতে অনাবাদী জমি না থাকে। বাড়ির আঙ্গিনায় সোলার সিস্টেমেরে মাধ্যমে সেচ দিতে হবে। বস্তার যায়গায় ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। বাড়ির আঙ্গিনায় কোন যায়গায় কোনটা ভালো হবে। কৃষি প্রযুক্তি জানিয়ে দিয়ে সবজি উৎপাদন বাড়ানো সম্বব। দক্ষিণাঞ্চলে নাসার্রীর খুব ঘাটতি। বাড়িতে নার্সারী করা যায়। দেশীয় প্রযুক্তির সাথে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় করে উৎপাদন বাড়াতে হবে।।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ডক্টর নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, গবেষণার মাধ্যম উচ্চ ফলনশীল জাতের উদ্ভাবনের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষণার মাধ্যম নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক: মেহেরুন্নেছা বেগম।  কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক আজকের বার্তা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন