ভোলার মনপুরায় জেলেদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক যুবদল নেতা ইসমাইল মুন্সিকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাকে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় জেলে হানিফ রাঢ়ী বাদী হয়ে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে।
গ্রেফতার ইসমাইল মুন্সি উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক। অন্য তিন আসামি হলেন- মো. নোমান মুন্সি, মো. কিরন ঢালী ও মো. হেলাল মাঝি। সবার বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার চরপাতালিয়ার ভডোর খাল সংলগ্ন মেঘনায় জাল ফেলে মাছ শিকার করছিল হানিফ রাঢ়ীরসহ অন্য জেলেরা। এ সময় স্পিডবোটে করে নোমান মুন্সি, কিরন ঢালী, ইসমাইল মুন্সি ও হেলাল এসে নৌকায় ওঠে জেলেদের মারধর শুরু করেন। পরে তারা নৌকায় অবৈধ হরিণের মাংস ও বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের অভিযোগ করেন এবং নৌকার জেলেদের দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে বেঁধে ফেলেন।
পরে নৌকার মাঝি হানিফ রাঢ়ীর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেন তারা। এমনকি তারা নৌকায় থাকা ৫০ হাজার টাকার সমমূল্যের মাছ ছিনিয়ে নিয়ে যান। একপর্যায়ে ওই চক্রের সদস্য হেলাল মাঝি হানিফকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য আড়তদারের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেন। টাকা পাওয়ার পর চক্রের সদস্যরা চলে যান। পরে ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে হানিফ রাঢ়ী বাদী হয়ে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে মনপুরা থানায় মামলা করেন।
স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সাবেক যুবদল নেতা ইসমাইল মুন্সি, নোমন মুন্সি, মেহেদী হাসান কিরণ ও হেলালের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তবে ওই চক্রের সদস্য ইসমাঈলকে গ্রেফতারের খবরে এলাকায় স্বস্তি বিরাজ করছে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি আহসান কবির জানান, চাঁদাবাজি মামলায় সাবেক যুবদল নেতা ইসমাইল মুন্সিকে আদালতের মাধ্যমে ভোলা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য তিন আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মনপুরা প্রতিনিধি :
প্রকাশের সময়: শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫ । ৭:৪৮ অপরাহ্ণ