বরিশাল নগীর কেডিসি এলাকায় অটো চালক আব্দুর রহিম শিকদারের বসত ঘরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় নারী-শিশুসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী আঃ রহিম সিকদার (৬০) গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ফরহাদ, সাইদুল, সাগর, রাজন, রাহান, রনি, রাতুল, নাসিমা, টুলি, হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ওইদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কেডিসি রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীতে আঃ রহিমের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং কোপায়। এতে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসময় ভুক্তভোগী আঃ রহিম, তার ছেলে আঃ করিম, ছেলের গর্ভবতী স্ত্রী কুলসুম, স্ত্রী দুলু বেগম, নাতনী মার্জিয়া, মেয়ে রিমা, রিয়া ও রেমিজা এলোপাথাড়ি মারধরের শিকার হন। এতে তাদের শরীরে নীলাফুলা জখম ও ক্ষত হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, হামলাকারীরা মহিলাদের টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি মারধরে আব্দুল করিমের গর্ভবতী স্ত্রী কুলসুম এখন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
এছাড়া ঘরে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা, দুই জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও একটি স্বর্ণের চেইনসহ প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন বাদী।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং ভুক্তভোগীরা পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। পরে পুনরায় বাড়িতে গেলে অভিযুক্তরা তাদের খুন-জখমের হুমকি দেয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বসত ঘরে উঠতে পারেন আব্দুর রহিম। অভিযুক্তদের অনবরত হুমকিতে বাদীর পরিবার এখন ঘরছাড়া।
অভিযোগকারী আঃ রহিম সিকদার বলেন, র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত মাদক সম্রাট সাইদুজ্জামান মালেকর স্ত্রী হচ্ছেন এই নিলু বেগম। এলাকায় এখনো তারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার ছেলেকে মাদক ব্যবসায় নিতে না পেরে আমার বসতঘরে হামলা চালিয়েছে তারা আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫ । ৬:৩০ অপরাহ্ণ