বরিশালে বিএনপির অফিস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের দায়েরকৃত মামলায় মহানগরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মাসুম খানকে আটক করা হয়েছে।
একই দিন পৃথক অভিযানে আউয়াল খান নামের আরেক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। আটকৃতদের বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন শিকদারের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার ভোর রাতে তাদের নগরীর সাগরদী ও সিটি মার্কেট এলাকা থেকে আটক করা হয়। মাসুম খান বরিশাল মহানগর ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও জিন্নাত আলী খানের ছেলে।
তিনি বিএনপির অফিস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন শিকদারের ওপর হামলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
ইতিপূর্বে দেশীয় অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অস্ত্রশস্ত্র ও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় যুবলীগ নেতা মাসুম খান দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছিলেন। এসব ঘটনায় করা মামলায় সোমবার ভোর রাতে নগরীর সাগরদী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
অপরদিকে নগরীর সিটি মার্কেট এলাকা থেকে আউয়াল খানকে আটক করা হয়েছে। তিনি হোসেন আলী খানের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক মামলায় মাসুম ও আউয়ালকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মাসুম ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার সম্পাদক। আর আউয়াল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি।

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশের সময়: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ । ৬:৫৪ অপরাহ্ণ