ভাই বিএনপি নেতা তাই…

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ । ৬:৫১ অপরাহ্ণ

বড় ভাই বিএনপির প্রভাবশালী নেতা, যেকারণে থানা পুলিশের বাঁধা ও নিষেধ অমান্য করে ছোট ভাই তার লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক সরকারি বন্দোবস্তের জমি দখল করে অস্থায়ী ঘর নির্মান করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপায়অন্তুর না পেয়ে এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি বরিশালের হিজলা উপজেলার খুন্না গবিন্দপুর গ্রামের।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃত হারুন-অর রশিদ দেওয়ানের ছেলে আবু রায়হান অভিযোগ করেন-তার বাবার নামে সরকারি বন্দোবস্ত হওয়া জমি নদীতে বিলীন হওয়ার পর বর্তমান সরকারি জমিতে তারা দীর্ঘ বছর থেকে বসবাস করে আসছেন।

আবু রায়হান আরও জানান, ২০০২ সালে বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর সরকারি সম্পত্তি বন্দোবস্তের আবেদন করার পর সহকারি কমিশনার (ভূমি) সরেজমিন তদন্ত করে হারুন-অর রশিদের দখলে থাকা দুই একর জমি বন্দোবন্ত দেয়ার জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরইমধ্যে হারুন-অর রশিদের মৃত্যুর পর তার ছেলে আবু রায়হান পরিবার নিয়ে ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন।

রায়হান বলেন, ২০১১ সালে জনৈক নারায়ন দাসের নামে জমিটি বন্দোবস্ত হয়। যা নারায়ন দাস ও তার পরিবার জানতেন না। ২০১২ সালে নারায়ন দাস মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকায় বসবাসরত নারায়ন দাসের ছেলে নরেন দাস জানিয়েছেন-ওই জমি তার বাবার নামে তা তিনি কিছুদিন আগে শুনেছেন। অপরদিকে জমির মালিকানা নিয়ে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে।

আবু রায়হান অভিযোগ করে বলেন, অতিসম্প্রতি ওই জমির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে উপজেলার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলতাফ হোসেন খোকনের ভাই শহীদ দপ্তরির। তিনি (শহীদ) নরেন দাসকে ফোন করে জানিয়েছেন জমিটি দখল নিতে পারেল তাকে (নরেন) কিছু টাকা দেবে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতা ভাইয়ের প্রভাববিস্তার করে শহীদ দপ্তরির নেতৃত্বে তার ১০/১২ জন সহযোগিরা ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রকাশ্যে আবু রায়হানের দখলে থাকা সম্পত্তির ওপর অস্থায়ী ঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে হিজলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অস্থায়ী ঘর নির্মানে বাঁধা প্রধান করা সত্বেও পুলিশের নির্দেশ অমান্য করেই ঘর নির্মান করেন শহীদ ও তার লোকজনে।

বিএনপি নেতা ভাইয়ের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ অস্বীকার করে বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ দপ্তরি বলেন-ওই জমি নারায়ন দাসের কাছ থেকে আমরা পাঁচজনে মিলে ক্রয় করেছি। সেই সূত্রে আমরা জমি দখল করেছি। সরকারি বন্দোবস্তের জমি ক্রয়-বিক্রয় অবৈধ। এ বিষয়টি জানেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে শহীদ দপ্তরী বলেন-সারাদেশেই এসব জমি বেচা-বিক্রি চলে। এমনকি এখানেও ৭৯টি জমি বিক্রি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হিজলা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলতাফ হোসেন খোকন বলেন-আমি ঢাকায় অবস্থান করায় বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: মেহেরুন্নেছা বেগম।  কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক আজকের বার্তা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন