বরগুনার তিনটি আসন পুনর্বহালে হাইকোর্টের রুল

বরগুনা প্রতিনিধি :
প্রকাশের সময়: বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ । ৭:০৬ অপরাহ্ণ

বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের বিষয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। হাইকোর্ট আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানতে চেয়েছেন, কেন বরগুনা জেলার পূর্বের তিনটি সংসদীয় আসন ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।

বুধবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন যৌথ বেঞ্চের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিশ্বজিৎ দেবনাথ রুল জারি করেন। জানা যায়, বরগুনা জেলা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত এবং ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। স্বাধীনতার পর থেকে বরগুনা জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন ছিল:

বরগুনা সদর ও বেতাগী নিয়ে বরগুনা-১
পাথরঘাটা ও বামনা নিয়ে বরগুনা-২
আমতলী ও তালতলী নিয়ে বরগুনা-৩

তবে ২০০৮ সালের ১০ জুলাই তৎকালীন ১/১১ সরকার সমর্থিত নির্বাচন কমিশন বরগুনা জেলার তিনটি আসনকে ভেঙে দুইটি আসনে বিন্যস্ত করে। নতুন বিন্যাসে বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী নিয়ে বরগুনা-১ এবং পাথরঘাটা, বেতাগী ও বামনা নিয়ে বরগুনা-২ গঠন করা হয়। এতে জেলা উত্তরাংশের তিনটি উপজেলার জনগণ স্থানীয় প্রতিনিধিত্ব হারায় এবং উন্নয়ন বঞ্চিত হয়।

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বরগুনা জেলার আসন পুনর্বহাল না করে খসড়া গেজেট প্রকাশ করে। পরে ১০ আগস্ট এ সংক্রান্ত ৯৫ জন নাগরিক রিট আবেদন করেন। ২৫ আগস্ট শুনানি শেষে ৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় খসড়া গেজেট প্রকাশ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তালতলী উপজেলার নাগরিক ওমর আবদুল্লাহ্ শাহীন ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।

হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়েরকারী ওমর আবদুল্লাহ্ শাহীন বলেন, “স্বাধীনতার পর প্রথম থেকে অষ্টম জাতীয় সংসদ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় তিনটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন ছিল। ১/১১ সরকার তিনটি আসনকে দুইটিতে রূপান্তর করলে সাড়ে ১২ লক্ষ মানুষ মৌলিক অধিকার ও স্থানীয় প্রতিনিধিত্ব হারিয়েছে। আমরা হাইকোর্টে বিচার প্রার্থনা করেছি, এবং আশা করি আসন পুনর্বহাল হবে।”

রিট পিটিশন দায়ের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, আদালতের রুল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করা হবে না।

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: মেহেরুন্নেছা বেগম।  কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক আজকের বার্তা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন