বাউফলে অ্যাম্বুল্যান্সচালকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
প্রকাশের সময়: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ । ৬:২২ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সচালকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটেছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স চালককে ফোন করা হয় সকাল ৭. ৩০ মিনিটে।

কিন্তু ৯টা ৩৫ মিনিটে চালক এসেছে। তার এই অবহেলার কারণেই বাউফল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মো. সানু (৫০) মারা গেছেন। এ বিষয়ে সানুর চাচাতো ভাই মো. জাকির হোসেন (৩৪) বলেন, ‘বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। আমরা ড্রাইভারকে এবাধিকবার কল করেছি।

কিন্তু তিনি তা আমলে নেননি। হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আমরা ২ ঘণ্টা অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অপেক্ষা করেছি। চালকের অবহেলায় রোগীর অন্তিম সময়ে রোগী নিয়ে সময়ক্ষেপণের কারণেই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।

মৃত সানুর বড় ভাই ফজলুর রহমান (৫৫) বলেন, ‘সঠিক সময়ে অ্যাম্বুল্যান্সের চালক এলে আমার ভাইকে বাঁচানো হয়তো সম্ভব হতো। কিন্তু ড্রাইভার অবহেলা করেছে। সে আমাদের অনেকক্ষণ অযথা বসিয়ে রেখেছে। তার অবহেলার কারণেই আজ আমার ভাই বেঁচে নেই। আমি বিচার চাই।

মৃত সানুর স্ত্রী আমেনা বেগম (৪৫) বলেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সচালক বাসায়ই ছিল। কিন্তু আমাদের ৫ মিনিট বলে বলে কালক্ষেপণ করে দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। আমি মনে করি, আমার স্বামীকে সঠিক সময়ে বরিশাল হাসপাতালে নিতে পারলে বাঁচানো সম্ভব হতো। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’

অভিযোগ অস্বীকার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সচালক মো. শহিদুল ইসলাম (৪৫) বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আমি তাদের বলেছি, আমি ১ ঘণ্টার মধ্যে আসতেছি। আমি ১ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের কাছে গিয়েছি। রাত নাই দিন নাই— আমি সব সময় ডিউটি করি। দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ দিলে আমি শাস্তি মেনে নেব।’

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রউফ বলেন, ‘রোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উল্লেখ্য, সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সচালক মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক রোগীর অভিযোগ আছে, তিনি কারো কথা শোনেন না। নিজের খেয়ালখুশিমতো দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি ডাক্তারদের কথাও আমলে নেন না চালক মো. শহিদুল। তার এমন অপেশাদারমূলক আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: মেহেরুন্নেছা বেগম।  কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক আজকের বার্তা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন