দুমকীতে সাঁকো ঝুঁকিপূর্ণ, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

দুমকী প্রতিনিধি :
প্রকাশের সময়: বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ । ৭:১৬ অপরাহ্ণ

গ্রামের নাম মুরাদিয়া। পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের এই গ্রামের একটি প্রতিষ্ঠান পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে যেতে মুরাদিয়া খালের ওপর বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়। নড়বড়ে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পার হতে গিয়ে শিশুরা প্রায়ই পা পিছলে পড়ে যায়।

বইপত্র পানিতে পড়ে নষ্ট হয়। রয়েছে জীবনের ঝুঁকিও। স্থানীয়রা জানায়, শুধু মুরাদিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছিল স্থানীয়দের উদ্যোগেই।

কিন্তু এখন এটি জীর্ণ ও নড়বড়ে। ফলে যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। অন্তত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ওই স্থানে একটি লোহার সেতু নির্মাণ করা হোক—এমন দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা আরো জানায়, পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, সালামপুর মাইনুল উলুম মাদরাসা, লতিফ মোহসেনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুরাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদরাসার অবস্থান ওই দুই ইউনিয়নে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের এ সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। এ ছাড়া এলাকার বাসিন্দারা নানা প্রয়োজনে উপজেলা শহর ও পাশের জামলা ও কলবাড়ী বাজারে যাতায়াতে এই সাঁকো ব্যবহার করে। তাদের অভিযোগ, বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের অনেকবার জানানোর পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া আয়েশা আক্তারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি পার হতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় পা পিছলে পানিতে পড়ে বইপত্র নষ্ট হয়।

অনেকে আহতও হয়। তাই সাঁকোর স্থানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে তাদের সুবিধা হতো। কামাল হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও ছেলে-মেয়েদের এই সাঁকো পার করেই স্কুলে পাঠাতে হয়।

মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান বলেন, এলাকাবাসীর কল্যাণ এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য এই বাঁশের সাঁকোটির পরিবর্তে একটা লোহার সেতু নির্মাণের প্রয়োজন। তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদে কয়েকটি সেতুর মালামাল রয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে কিছু টাকা বরাদ্দ পেলেই এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। বিষয়টি আমরা এলজিইডিকে জানিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে সম্ভব সবকিছু করা হবে।

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: মেহেরুন্নেছা বেগম।  কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক আজকের বার্তা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন