বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের ওপর হামলায় জড়িত তিন শিক্ষককে অনতিবিলম্বে বহিষ্কার এবং প্রহসনমূলক ক্লাস রুটিন প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন রুটিন প্রকাশের দুই দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস, ল্যাব প্র্যাকটিস ও ক্লাস বর্জন করে কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় তারা অভিযুক্ত তিন শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগমকে ক্যাম্পাসে লাল কার্ড প্রদর্শন করে এবং চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতীকী নীরবতা পালন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, “নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা গত ৬ মে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। তখন আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়। হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল।
কিন্তু চার মাস পার হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যারা আমাদের লাঞ্ছিত করেছে, তারা এখনও স্বপদে বহাল আছেন। তাদের দ্রুত বদলি বা অপসারণ না করা হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
স্টুডেন্ট নার্সেস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন বরিশাল নার্সিং কলেজের দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালানো হবে।
সোমবার ক্লাস বর্জন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল। আজ অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড প্রদর্শন ও প্রতীকী নীরবতার মধ্যদিয়ে অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।”

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫ । ৭:২১ অপরাহ্ণ