বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা তানজিদ মঞ্জু পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্রদলের নেতাদের সহযোগিতায় তিনি পালিয়েছেন। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তার ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এসোসিয়েশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন যে, তানজিদ মঞ্জু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন করতেন। তিনি নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে ক্যাম্পাসের নির্মাণাধীন নভোথিয়েটার এলাকায় গেলে তাকে আটক করা হয়।
আটকের সময় মঞ্জুর সঙ্গে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার (মিজান, মিয়া বাবুল ও মিঠুন) উপস্থিত ছিলেন বলে শিক্ষার্থীরা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী রাকিন খান বলেন, তারা মঞ্জুকে জেরা করার নামে মেরিন একাডেমির সামনের রাস্তায় নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তারা জানান যে মঞ্জু পালিয়ে গেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ছাত্রদলের নেতারা ব্যক্তিগত কথা বলার অজুহাতে মঞ্জুকে সরিয়ে নিয়ে যান এবং পরে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
মঞ্জু পালিয়ে গেলেও তার মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল। রাত প্রায় দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মোটরসাইকেলটি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনন্দ বাজার সেতুর ওপর নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মঞ্জুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার খবর পেয়েছেন, কিন্তু এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ এখনো পর্যন্ত থানায় দায়ের হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় পোড়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের জন্য পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ঘটনাস্থলে যাননি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা এ ধরনের সংঘর্ষের কারণ হচ্ছে।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ । ৭:১৬ অপরাহ্ণ