স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে নাম উল্লেখ করা ২৩ জনের মধ্যে ২২ জন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী। অপরজন হাসপাতাল এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মো. শফিকুল্লাহ গতকাল বুধবার গভীর রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে শেবাচিম হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা গণ-অনশন শুরু করেছিলেন। ১১ আগস্ট অভিযুক্ত কর্মচারীরা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। অসুস্থতা ও আতঙ্কের কারণে শিক্ষার্থীরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করতে পারেননি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হাসপাতালের কর্মচারী, তাই বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
নাম উল্লেখ করা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ওয়ার্ড মাস্টার মশিউল আলম ফেরদৌস ও জুয়েল চন্দ্র শীল, অফিস সহকারী পরিতোষ সরকার, সৈয়দ মান্নানসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির আরও কয়েকজন কর্মচারী।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই থেকে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলন চলছে। ১৩ আগস্ট নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা–কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধকালে পরিবহনশ্রমিকেরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। এর পরদিন শেবাচিম হাসপাতাল চত্বরে গণ-অনশন শুরু হওয়ার আগেই কর্মচারীরা আবার হামলা চালান।
গত সোমবার ফের বিক্ষোভের সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্মচারী বাহাদুর সিকদার বাদী হয়ে আন্দোলনের প্রধান সংগঠক মহিউদ্দিন রনি ও অজ্ঞাতনামা ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫ । ৭:৫০ অপরাহ্ণ