কলাপাড়ায় কৃষিতে সাড়া ফেলেছেন আদিবাসী রাখাইন মংখেলা

কলাপাড়া প্রতিনিধি :
প্রকাশের সময়: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ । ৮:১৮ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকূলে কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নেতৃত্বে কৃষক ও বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তার মাধ্যমে এক টুকরো জমিও যেন অনাবাদী না থাকে, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। এরই মধ্যে আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের সদস্য মংখেলা কৃষিতে সাফল্যের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

মংখেলা, যিনি পেশায় উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিট সুপারভাইজার, ছুটির দিনগুলোতে কৃষি কাজে নিয়োজিত থাকেন। তার ছাদ বাগান, ফল ও সবজি বাগান এবং সবুজ ধানের ক্ষেত এলাকায় সাড়া ফেলেছে। নিজের উৎপাদিত কৃষিপণ্যে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তিনি সহকর্মী, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীদের মাঝে উপহার হিসেবে বিতরণ করেন।

শুক্রবার বালিয়াতলী ইউনিয়নের বৌলতলী পাড়ায় মংখেলাকে উচ্চ ফলনশীল আমন ধান ব্রি-১০৩’র চারা রোপণ করতে দেখা যায়। তিনি জানান, “এটি আমনের একটি নতুন জাত, যা হেক্টরপ্রতি ৬ টন পর্যন্ত ফলন দিতে পারে। কলাপাড়া উপকূলে আমি প্রথম এই জাতের ধান চাষ করছি।” তিনি কৃষি বিভাগের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মংখেলার বাগানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ এবং বারোমাসি শাক-সবজি। তার এই উদ্যোগ সহকর্মী ও গ্রামবাসীদের কৃষিতে উৎসাহিত করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন বলেন, “বর্ষা মৌসুমে উঁচু জমিগুলো অলস পড়ে থাকে। তাই কৃষকদের রোপা আমন ধান চাষে উৎসাহিত করছি। এ বছর ৩০,৬৯৮ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।”

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ৩ হাজার ৬০০ কৃষক বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছেন। ৩৮টি ব্লকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। মংখেলার মতো উদ্যোক্তারা এবং কৃষি বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় কলাপাড়ার উপকূল কৃষিতে নতুন দিগন্তের পথে এগিয়ে চলছে।

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: মেহেরুন্নেছা বেগম।  কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক আজকের বার্তা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন