পানির স্রোতকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন বরগুনার মনিরুল ইসলাম। মনিরুল ইসলাম নিজের উদ্ভাবিত বিশেষ যন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে বিনা খরচেই উৎপাদন করছেন বিদ্যুৎ। আর সেই বিদ্যুতে একসাথে জ্বলছে অর্ধ শতাধিক বৈদ্যুতিক লাইট।
বরগুনা সদর উপজেলার পুরাকাটা গ্রামের মনিরুল ইসলাম। স্লুইস গেট দিয়ে পানি প্রবেশের মুখে তিনি বসিয়েছে নিজের উদ্ভাবিত বিশেষ যন্ত্র, যা স্রোতের ধাক্কায় ঘুরে উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ। প্রকৃতির শক্তিকে হাতের মুঠোয় এনে আলোর উৎসব ছড়িয়ে দেওয়ার অনন্য এ সফল উদ্ভাবনে গর্বিত ও আনন্দিত এলাকাবাসী।
বরগুনার পায়রা নদীতে দিনে দু’বার জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। তাই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত মনিরের এই উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব বলে জানান তিনি। পর্যাপ্ত সুযোগ পেলে, বিনা পয়সায় গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত করতে – পানির স্রোত যেখানে আছে, সেখানেই এই প্রযুক্তি কাজে লাগাতে চান উদ্ভাবক মনির।
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, তিন মাসের প্রচেষ্টায় মাত্র ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তিনি। তিনি একজন জ্বালানি তেল বিক্রেতা। এই তেল বিদেশ থেকে আনতে হয়। বিদেশের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে এই পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি কার্যকরী পদ্ধতি হতে পারে বলে মনে করেন এই উদ্ভাবক।
উদ্ভাবনী এই কাজের সহযোগী মেকানিক জাহিদ বলেন, স্লুইসের ভিতরে সকল ধরনের মাপ সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেয়ার ফলে কাজটি যথা সময়ে এবং সঠিকভাবে করতে পেরেছেন।
নামমাত্র খরচে প্রকৃতির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে উৎপাদন করা হচ্ছে বিদ্যুৎ। আর সেই বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হচ্ছে গ্রাম। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, এভাবে এগিয়ে গেলে দেশের জন্য সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

বরগুনা প্রতিনিধি :
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫ । ৯:১২ অপরাহ্ণ