পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সুইচগেটের পার্শ্ব ভেঙে যাওয়ায় দুই শতাধিক পরিবার আতঙ্কে মুখে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে যায় তাদের ঘর বাড়ি,জমি,মাছের ঘের ও পুকুর এবং গাছপালা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা তিনদিকে নদী বেষ্টিত বলেশ্বর নদী ও চেয়ারম্যান বাড়ির সংলগ্ন খালের মুখে সুইচগেটটি থাকায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানির স্রোতে পার্শ্ব ভেঙ্গে যাওয়ায় ঘর বাড়িতে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বসবাস করতে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয় তাদের। কোনো দুর্যোগ বা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পেলেই এলাকায় প্লাবিত হয়ে যায়। নেই কোন রক্ষ না বেক্ষন। রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় সুইচগেইট এর দুই পার্শ্ব থেকে ভেঙ্গে খালে পরিণত হয়। সেখান থেকে জোঁয়ারের পানি ঢুকে ফসলি জমি,আমন ধানের বীজতলা প্লাবিত হচ্ছে এবং শীতকালীন রবি শস্যের ক্ষেতগুলোও পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত এবং হয়ে যায় ঋণগ্রস্ত।
সুইচগেটের পার্শ্ববর্তী ও ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা জানান, এই সুইচগেটের কারণে আমাদের অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আর কত বছর অপেক্ষা করবো এটি মেরামতের জন্য। আমাদের ঘর বাড়ি, জমি,গাছপালা সব কিছু নদী চলে গেছে। এখন আমাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করতে খুব কষ্ট হয়। কোনো দুর্যোগের খবর শুনে বা জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে আতঙ্কে থাকতে হয়।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার ইমন জানান, সদর ইউনিয়নের দুইটি সুইচগেটের অবস্থা খুবই করুন। সুইজগেটের পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গনের কারণে এই এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি,কৃষি জমি সহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমি গত সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগাযোগ করেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছে বাজেট পেলে এই ব্যবস্থা নিবে।
পিরোজপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন জানান, আমরা বাজেট চেয়েছি। বাজেট পেলেই সুইজগেটটি মেরামতের ব্যবস্থা করব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক হাসান-বিন-মুহাম্মদ আলী জানান, আমাকে সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ বিষয় অবহিত করেছেন। পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করেছি। আমি এই বিষয় একটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি।

ইন্দুরকানী প্রতিনিধি :
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫ । ৭:৪৯ অপরাহ্ণ