পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় তিন দিনের মধ্যে দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) ও গতকাল রবিবার (১১ আগস্ট) একই উপজেলায় বিএনপি নেতা ও এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। এতে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি ডাকাতদল দশমিনা উপজেলায় বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের আবুল হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা তার ছেলে শাইরুল ইসলামকে বেঁধে নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে শাইরুলের ১৫ দিন বয়সী নবজাতক শিশুকে জিম্মি করে বাড়ি থেকে নগদ ৯ লাখ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। ভুক্তভোগী শাইরুল ইসলাম উপজেলা বিএনপি গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক।
তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আমি বাবার সঙ্গে বসবাস করি। ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র ও মুখোশে ঢাকা ছিল। আমার নবজাতককে মাথার ওপর তুলে হুমকি দেয়, টাকা ও স্বর্ণ না দিলে শিশুটিকে মারবে। এলাকার লোকজনের সাহায্যে আমি বাঁচতে পেরেছি।
এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’এদিকে, গতকাল রবিবার (৩ জুলাই) রাত ৩টার দিকে দশমিনার সদর ইউনিয়নের পূজা খোলা এলাকার এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
প্রবাসীর স্ত্রী জানান, চারজন মুখোশধারী এক দল ডাকাত গ্রিল কেটে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র খুঁজতে গিয়ে তারা প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে। আত্মরক্ষার জন্য ওই তিনি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে চিৎকার দেন।
তবে আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আসার আগেই ডাকাতদল লুটপাট করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, চারজন ডাকাত মুখ বেঁধে আমার বাড়িতে ঢুকে মারধর করে। সম্মান রক্ষার্থে আমি ছাদ থেকে ঝাঁপ দেই। পরে এলাকাবাসী এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। ডাকাতদল তার বাসা থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও সিসি ক্যামেরার মেশিন লুট করে নিয়ে যায়।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘দুটি ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সীমিত জনবলের মধ্যে নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে। রাতের অন্ধকারে অপরাধীরা ডাকাতির মতো অপকর্ম ঘটাচ্ছে। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫ । ৭:৪১ অপরাহ্ণ