স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসাসেবা আধুনিকায়নসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে এই অবরোধ শুরু হয়। এর ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলার যানবাহন চলাচল অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে হাজার হাজার যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। এদিকে দুপুরে বাসশ্রমিকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মারামারিতে অবরোধকারীরা পাশে সরে গেছে।
আন্দোলনকারীরা নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ থাকলেও তারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। সড়ক বন্ধ থাকায় অবরোধস্থলের দুই দিকে যাত্রীবাহী বাসসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বরিশালসহ পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি পটুয়াখালী এবং পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সব রকম যানবাহন চলাচল অচল হয়ে পড়েছে। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনি বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি ছাড়া তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘সমস্যা নিরসনে আলোচনা চলছে। আশা করি, দ্রুত অবরোধ উঠে যাবে।’ প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার ব্যানারে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশের সময়: শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫ । ৭:২৫ অপরাহ্ণ