মেহেন্দিগঞ্জে বেআইনী প্রক্রিয়ায় ১৮ শিক্ষক নিয়োগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫ । ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে গত ১৬ বছরে অনিয়মের স্বর্ণযুগ পার করেছেন বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার । যাহার আরেকটি প্রমাণ পাওয়া গেছে গায়েবি প্রক্রিয়ায়  বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে। কোন প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ২০১৭ ইং সালের ৮ ই আগস্টে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব পুলক রঞ্জন সাহা কতৃক স্বাক্ষরিত এক আদেশনামায় দেখা যায় বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ১৮ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় যাহা ২০১৩ ইং সালের ১ লা জানুয়ারি হইতে কার্যকর।

এই আদেশ বলে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কোন স্কুলে যোগদান না করেই, কোন শিক্ষকতা না করেই কয়েক লক্ষ টাকা বেতন ভাতা দিয়ে নিয়েছেন সরকারি কোষাগার থেকে। বিষয়টি নিয়ে তখনকার সময়ে এলাকায় স্থানীয়দের মাঝে এবং শিক্ষক শিক্ষিকা ও স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হলেও তৎকালীন স্থানীয়  সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ এর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করেননি, কেননা নিয়োগ প্রক্রিয়ার যাবতীয় কার্যক্রম তিনিই সম্পন্ন করে দেন।

পরবর্তী সময়ে মেহেন্দিগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় বিষয়টি নিয়ে বরিশালের দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ পেশ করলে দুদক ওই ১৮ জন শিক্ষকের নামে মামলা দায়ের করেন  যাহা এখনো চলমান। আশ্চর্যের বিষয় হল গায়েবীভাবে এই নিয়োগকালীন সময়ে একজন শিক্ষিকার বয়স ছিল মাত্র ১৬ যার নাম নাসরিন এবং তিনি উত্তর আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

একইভাবে আরেকজন শিক্ষকের বয়স ছিল প্রায় ৪৬ যাহার নাম  আখতার হোসেন, তিনিও উত্তর আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগদান করেন। উল্লেখ্য যে, মহা সৌভাগ্যবান এই ১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা স্থানীয় আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং আওয়ামী পরিবারের কারো না কারো ভাই কারো না কারো বোন কারো না কারো স্ত্রী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেন্দিগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মইদুল ইসলাম বলেন,

ওই ১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত কোন তথ্য-উপাত্ত আমার দপ্তরে নাই এবং জনশ্রুত রয়েছে এরা গায়েবীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বহাল তবিয়তে ওভারএইজে এবং  অল্প বয়সে চাকুরীরত রয়েছেন। বরিশালের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আল ইমরান খন্দকার বলেন, এই বিষয়ে আমি এই প্রথম শুনলাম।

এবং এই ১৮ জন শিক্ষকের তথ্য উপাত্ত পেতে সাংবাদিকের কাছে অনুরোধ জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেন্দিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজুর রহমান বলেন, এটা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিষয়। আমার কিছুই করণীয় নাই, নিয়ম অনিয়মের বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেখবেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক: মেহেরুন্নেছা বেগম।  কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক আজকের বার্তা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন