আয়রন ব্রীজে কাঠের পাটাতন, ২০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫ । ৭:৩০ অপরাহ্ণ

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এলজিইডির আয়রন ব্রীজের মাঝে গর্তের স্থানে ১০ বছর ধরে কাঠের পাটাতন দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে ২০ গ্রামের লোকজন, শিক্ষার্থী ও যানবাহন চলাচল করছে। ওই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন দ্রুত গতির যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে দুঘর্টনার স্বীকার হচ্ছে অনেকেই। স্থানীয় ও চলাচলকারীরা দ্রুত ব্রীজটি নির্মাণের জন্য এলজিইডি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা-তালের বাজার সড়কের ভদ্রপাড়ার ওয়াপদা খালের উপর দীর্ঘ ৩০ বছর পূর্বে এলজিইডি বিভাগ থেকে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি আয়রন (ঢালাই) ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মানের ২০ বছর পর আয়রন ব্রীজের বিভিন্ন স্থানে ঢালাই ভেঙ্গে রড বের হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয় ও দু-পাশের রেলিং ভেঙ্গে ব্রীজটি ঝুকিপূর্ন হয়ে পরে। ঢালাই ও রেলিং ভেঙ্গে পরার পর উপজেলা এলজিইডি বিভাগকে স্থানীয়রা জানালেও তারা সংস্কারের উদ্যেগ গ্রহন না করায় স্থানীয়রা গর্তের মাঝে একাধিবার কাঠ দিয়ে মেরামত করে চলাচল করছে।

আয়রন ব্রীজটির অধিকাংশ স্থানই বর্তমানে কাঠের পাটাতন দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে শিক্ষাথী, লোকজন ও ইজিবাইক, অটোভ্যান, মটরসাইকেল, নসিমনসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। ওই ব্রীজ দিয়ে পাশ্ববর্তী ভদ্রপাড়া, দক্ষিন গৈলা, তালের বাজার, নাগার, চাপাচুপা, বরিয়ালী, রামের বাজার, তালতারমাঠ,  মোহনকাঠী, অশোকসেন, টেমার, দক্ষিন শিহিপাশাসহ ২০টি গ্রামের লোকজন চলাচল করছে। এই ব্রীজ দিয়ে ভদ্রপাড়া করমআলী সিকদার বিদ্যাপীঠ, সরকারি গৈলা মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ পার্শ্ববর্তী একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুকি নিয়ে চলাচল করে।

এ ব্রীজ দিয়ে  রাতের অন্ধকারে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে অনেকেই।  ব্রীজ দিয়ে চলাচলকারী ভ্যান চালক সুব্রত হালদার বলেন, প্রতিদিন লোকজন ও মালামাল নিয়ে এই ঝুকিপূর্ন ব্রীজ দিয়ে বাধ্য হয়ে চলাচল করছি। মাঝে মধ্যে দূর্ঘটনার স্বীকারও হচ্ছি।

স্থানীয় সিরাজ সরদার জানান, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ১০ বছর পূর্বে ব্রীজের মাঝে গর্ত ও রেলিং ভেঙ্গে যায়। আমরা স্থানীয়রা গর্তের মাঝে কাঠ দিয়ে একাধিকবার মেরামত করায় কোন রকমে ঝুকি নিয়ে যানবাহন ও লোকজন চলাচল করছে। আমারা ব্রীজটি দ্রুত নির্মানের জন্য এলজিইডি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবী জানাচ্ছি।  এব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, ওই ব্রীজটি পূর্ননির্মানের জন্য সম্প্রতি ঢাকার এলজিইডি’র প্রধান কার্যালয় থেকে আইবিআরপি প্রকল্পের পরিচালক শরীফ মো.জামাল উদ্দিন সরেজমিন পরিদর্শনে এসেছিলেন। ডিজাইন (নকশা) কাজ শেষ হওয়ার পরে বরিশাল অফিস থেকে টেন্ডার আহবান করা হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক: মেহেরুন্নেছা বেগম।  কপিরাইট © ২০২৫ দৈনিক আজকের বার্তা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন