সারাদেশে ২০২২ সালের এসএসসি-সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবার এ পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। যানজট এড়াতে এবছর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সারাদেশে তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে মোট ২৯ হাজার ৫৯১টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তার মধ্যে নয়টি সাধারণ বোর্ডের আওতায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন, দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের আওতায় দাখিল পরীক্ষায় দুই লাখ ৬৮ হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য ৭১৫টি কেন্দ্রে নয় হাজার ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া কারিগরি বোর্ডের আওতায় এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। মোট ৮২৮টি কেন্দ্রে দুই হাজার ৮১৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া দেশের বাইরে আটটি দেশে ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। এরমধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট এবং সিকিউ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট। এ বছর এসএসসিতে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না।
এসএসসিতে বিভাগভেদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃতি, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষা হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু কেন্দ্র সচিব বাটন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কেন্দ্র সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তার সইয়ে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পাবলিক পরীক্ষায় বে-আইনি কোনো কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হবে। দোষী শিক্ষক ও কর্মচারীদের (সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলে) চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তাদের এমপিওভুক্তি বাতিল করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।