ডেস্ক রিপোর্টঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই সমুদ্রে কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা পাওয়া সত্ত্বেও না ধরেই উপকূলীয় অঞ্চলে ফিরে আসছে শত শত মাছধরা ট্রলার। এ কারণে জেলেরা পড়েছেন বিপাকে। রোববার (১২ সেপ্টম্বর) মধ্যরাত থেকেই জেলেরা ট্রলার নিয়ে ফিরে আসতে শুরু করেন। এতে উপকূলে আবারও বড় লোকসানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ঘাটে ফেরা এফ বি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি শামসুল হক জানান, প্রায় দেড় লাখ টাকার রসদ সামগ্রী নিয়ে সমুদ্রে গিয়ে তিন দিনও মাছ ধরতে পারেননি তারা। প্রথমে নিম্নচাপের খবর পেয়েও লোকসান বিবেচনায় সমুদ্রে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রোববার দুপুরের পর সমুদ্র তার রূপ পাল্টায়। বর্তমানে এতটাই উত্তাল যে ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে অবস্থান জেলেদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যত দিনে আবহাওয়া অনুক‚লে না আসে ততদিন উপকূলেই থাকতে হবে তাদের। এবারও প্রায় লাখ টাকার ওপরে লোকসান গুনতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটায় গত কালকে থেকেই শত শত ট্রলার এসে নিরাপদ আশ্রয় অবস্থান করছে। এখনো অনেক ট্রলার আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা। তবে এ রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত সমুদ্রে কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ফিশিং বোর্ড মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী। জানান, সম্প্রতি নিম্নচাপে লোকসান নিয়ে ফিরে আসা ট্রলারগুলো নিয়ে ধার দেনা করে আবারও সমুদ্রে গিয়েছিল জেলেরা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে শত শত ট্রলার এসে নিরাপদ আশ্রয় অবস্থান করছে। এখনো অনেক ট্রলার আসতে পারেনি।
তবে এবারের নিম্নচাপ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে এসেছে মৎস্যজীবীদের জন্য। এখন প্রতিটি ট্রলারের মালিকই দেনাগ্রস্ত। বরগুনা সাইক্লোন প্রিপারনেস প্রগ্রাম (সিপিপি) জানিয়েছে, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।