একটি লাড্ডুর দাম সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ টাকা হতে পারে। আরো ভালো মানের লাড্ডু হলে দাম ৫০ টাকাও হতে পারে। কিন্তু যদি কয়েক লাখ টাকায় একটি লাড্ডু বিক্রি হয়, তাহলে তা বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু ভারতের হায়দ্রাবাদে সম্প্রতি একটি লাড্ডু বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকায়।
হিন্দু দেবতা গণেশের বাৎসরিক পূজা উৎসব গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে প্রতিবছর হায়দরাবাদের বালাপুরে বিশাল আকারের লাড্ডু বানানো হয়। তারপর সেই লাড্ডু নিলাম করে বিক্রি করা হয়। জানা গেছে, এ বছর লাড্ডুর ওজন ছিল প্রায় ২১ কেজি। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) লাড্ডুটির নিলাম শুরু হয় এক হাজার ১১৬ রুপি থেকে। দশজন নিলামে অংশ নিয়েছিলেন। দাম চড়তে চড়তে তা ২৬ লাখ ৬০ হাজার রুপিতে পৌঁছায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সেই লাড্ডু বিক্রি হয় ২৫ লাখ রুপিতে। বাংলাদেশি টাকায় যা দাঁড়ায় প্রায় ২৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়। ২০২১ সালেও ২১ কেজি ওজনের লাড্ডু বানানো হয়েছিল। সেই লাড্ডু বিক্রি হয় ১৯ লাখ রুপিতে।
এই লাড্ডুর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, নিলামে এই প্রথমবারের মত লাড্ডুর দাম ২০ লাখ রুপির বেশি উঠেছে। বালাপুরের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, তাদের জীবনের উন্নতিতে পূজার এই লাড্ডুর অনেক অবদান আছে। তাই এই লাড্ডুকে বঙ্গারু লাড্ডু বা সোনার লাড্ডু বলা হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে এই সোনার লাড্ডুর নিলাম শুরু হয়। প্রথম বছরে লাড্ডুর দাম উঠেছিল ৪৫০ রুপি। তারপর থেকেই সেই প্রথা চলে আসছে বছরের পর বছর। লাড্ডু বিক্রি থেকে আয় করা টাকা বালাপুরের উন্নতির কাজে লাগানো হয় বলে জানা গেছে।