আমতলী সংবাদদাতাঃ বরগুনার আমতলীতে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে নার্গিস বেগম নামের এক নারীর হাতের আঙুল কুপিয়ে কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকালে আহত নার্গিস বেগম এমন অভিযোগ করেন। আহত নার্গিসকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলা দক্ষিণ রাওঘা গ্রামের খালেক মোল্লা ও জাকির চৌকিদারের সঙ্গে ৪২ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জমান মিন্টু মল্লিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় ওই জমি ইউপি সদস্য মোঃ জিয়া উদ্দিন জোসেফ তালুকদারের জিম্মায় রাখেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত উপক্ষো করে খালেক মোল্লা ও তার লোকজন বুধবার সকালে ওই জমি চাষাবাদ করতে যায়। এতে জাকির চৌকিদারের ভাই মোঃ আরিফুর রহমান বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খালেক মোল্লা, জহিরুল মোল্লা ও আমিরুল মোল্লাসহ ৮-১০ জন আরিফুর রহমানকে মারধর শুরু করেন। তাকে রক্ষায় তার বোন নার্গিস বেগম ও মা রওশনারা এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করেন।
জহিরুল মোল্লার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নার্গিস বেগমের বাম হাতের আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সুমন বিশ্বাস নার্গিস আকতারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
জাকির চৌকিদার বলেন, আমার ক্রয়কৃত ৪২ শতাংশ জমি খালেক মোল্লা তার দাবী করে জোরপূর্বক চাষাবাদ শুরু করে। আমার ভাই আরিফুর রহমান ওই জমি চাষে বাধা দিলে তাকে মারধর করে। ভাইকে রক্ষায় বোন নার্গিস বেগম ও মা রওশনারা এগিয়ে গেলে গেছে তাদের মারধর করে।
তিনি আরো বলেন, জহিরুল মোল্লার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নার্গিসের বাম হাতের আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। খালেক মোল্লার ছেলে আমিরুল মোল্লা কুপিয়ে হাত বিছিন্ন করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা জমি চাষাবাদ করছিলাম। আরিফুর রহমান ওই জমি চাষাবাদে বাধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
ইউপি সদস্য জিয়া উদ্দিন জোসেফ তালুকদার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে খালেক মোল্লা জমি চাষাবাদ করেছেন। এতে বাধা দিলে খালেক মোল্লার ছেলে জহিরুল মোল্লা প্রতিপক্ষের নার্গিস বেগম নামের এক নারীকে কুপিয়ে হাতের আঙুল কেটে ফেলেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন বিশ্বাস বলেন, আহত নার্গিসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
