ঢাকা
স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম (বার) বলেছেন, এখন থেকে পুলিশ কিয়ারেন্স এর জন্য আর কাউকে হয়রানির শিকার হতে হবেনা, সাত দিনের মধ্যে পুলিশ কিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়া হবে। শুধুমাত্র সরকারী ফি পাঁচশত টাকা ছাড়া এর বাইরে আর কোন টাকা খরচ করতে হবেনা। গরীব মানুষ গুলো যাতে সহজে পুলিশি সেবা পান, তারা যাতে হয়রানির শিকার না হন, বিদেশগামীদের যাতে থানায় বার বার যেতে না হয়, সাধারণ মানুষের এধরনের দুর্ভোগ লাঘবের জন্যই ওয়ান স্টপ পুলিশ কিয়ারেন্স সার্ভিস এর চালু করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বরিশাল নগরীর আমতলা মোড় রোডস্থ বিএমপি কমিশনার এর কার্যালয়ে ওয়ান স্টপ পুলিশ কিয়ারেন্স সার্ভিস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, পুলিশ কিয়ারেন্স হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক জনগণকে প্রদত্ত এক ধরনের সেবা। সাধারণত চাকরি বা উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে/বিদেশে অবস্থানরত কিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।
বিএমপি কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওয়ান স্টপ পুলিশ কিয়ারেন্স সার্ভিস এ পুলিশ কিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবার প্রক্রিয়া হচ্ছে প্রথমে প্রার্থীকে সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখা, বরিশাল এর কোড নং ১৭৩০১০০০১২৬৮১ তে ৫০০/- টাকার ব্যাংক ট্রেজারী চালান সংগ্রহ করতে হবে। পরে ৫০০/- টাকার ব্যাংক ট্রেজারী চালান কপি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অত্র কার্যালয়ের ওয়ান স্টপ পুলিশ কিয়ারেন্স সার্ভিস ডেস্কে উপস্থিত হলে নির্দিষ্ট অফিসার কাগজপত্র স্ক্যানার মেশিন দিয়ে স্ক্যান করে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন এবং আবেদন দ্রুত সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করে পুলিশ কিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রাপ্তির নির্দিষ্ট তারিখ আবেদনকারীকে জানিয়ে দিবেন। নির্ধারিত তারিখেই প্রার্থীকে তা প্রদান করা হবে।
যদি কোন প্রার্থী নিজেই পুলিশ কিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে চান সেক্ষেত্রে উপ-পুলিশ কমিশনার (নগর বিশেষ শাখা), বিএমপি, বরিশাল কার্যালয়ে হাজির হয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপূর্বক সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, অনেক সময় অপরাধীরা দেশে গুরুতর কোন অপরাধ/সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে বিদেশে পালিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ কিয়ারেন্সের মাধ্যমে তা নিশ্চিত হওয়া যায়। বিদেশ গমনেচ্ছু কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা চলমান আছে কিনা পুলিশ কিয়ারেন্সের মাধ্যমে তা জানা যায়। এছাড়াও বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় ওয়ার্ক পারমিট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনেক সময় পুলিশ কিয়ারেন্স প্রয়োজন হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) সঞ্জয় কুন্ড, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ এনামুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) মোহাম্মদ নজরুল হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (সাপ্লাই এন্ড লজিস্টিকস) মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) খান মুহাম্মদ আবু নাসের, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) রুনা লায়লা সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মী ও বিএমপি পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
