ঢাকা
উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মশাং বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
গদ ২৯ আগস্ট রাত আড়াইটার দিকে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। প্রথমে নৈশ প্রহরী মোখলেস হাওলাদার আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের টিম আগুন নিয়ন্ত্রণ করার পূর্বেই সকল দোকান, আসবাবপত্র, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায়।
সূত্রে জানা যায়, দোকান মালিক ও ফার্মেসী ব্যবসায়ী নাজমুল হক স্বপনের দোকান পুড়ে ২০ লক্ষাধিক টাকা, ইউনুস বেপারীর ফার্নিচারের দোকান পুড়ে ১০ লক্ষাধিক টাকা, জব্বার বেপারীর কাঠের গুদাম পুড়ে ২ লক্ষাধিক টাকা এবং ঘরমালিক সাইদুর রহমান হাওলাদারের দোকান পুড়ে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিনিয়ত নৈশ প্রহরী মোখলেস হাওলাদার ও মন্নাত বেপারী রাত জেগে পাহারা দিতেন। কিন্তু ঘটনার রাতে মন্নাত বাজারে পাহারাদার হিসেবে ছিলেন না। একমাত্র মোখলেস হাওলাদার পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। তার অবহেলার কারণেই আগুনে পুড়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নাজমুল হক স্বপন, ইউনুস বেপারী, জব্বার বেপারী, সাইদুর রহমান হাওলাদার জানান, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শত্রুতা আদায়ের লক্ষ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমাদের সর্বস্ব কেড়ে নিতে পারে।
মশাং বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার খান জানান, কিভাবে আগুন লেগেছে তা জানা নেই। নৈশ প্রহরী মোখলেস হাওলাদারকে বারবার ফোন করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশের ফোর্স ও ফায়ার সার্ভিসের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ততক্ষণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিসের টিম আমাদের জানায়, আগুনের সূত্রপাত বিদ্যুৎ থেকে হলেও হতে পারে।
