দেশে তৃতীয়বারের মতো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর। এতে মোট ৩৫৩৯টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭৯ হাজার ১৪৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে ১টি আসনের জন্যে লড়বেন প্রায় ২৩ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষি গুচ্ছ ভর্তি কমিটির দায়িত্বে থাকা শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।
আবেদনের ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোতে আসন সংখ্যা অনুযায়ী আবেদন করা ভর্তিচ্ছুদের তিনগুণ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেতেন। তবে এবার এ সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর আবেদনের যোগ্যতা সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ করা হয়েছে। এ যোগ্যতার মধ্যে প্রত্যেক ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় আসন সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে। তবে এ গুচ্ছের সঙ্গে নতুন যুক্ত হওয়া হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০টি আসন যোগ হয়েছে।
আগের আসন সংখ্যা অনুযায়ী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৩০ থেকে ১২টা ৩০ পর্যন্ত ৭টি কেন্দ্র ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপকেন্দ্রের অধীনে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
এইচএসসি/সমমান পর্যায়ে ইংরেজিতে ১০, প্রাণীবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি/সমমানের জন্য ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যোগ করে ফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করা হবে।