আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

গার্ডার দুর্ঘটনা: এসএসসি পাশ করেই ‘সেফটি ইঞ্জিনিয়ার’


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২ ১:৩৬ অপরাহ্ণ গার্ডার দুর্ঘটনা: এসএসসি পাশ করেই ‘সেফটি ইঞ্জিনিয়ার’
Spread the love

বিআরটি প্রকল্পের ঠিকাদারি কোম্পানি চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশনে (সিজিজিসি) ‘সেফটি ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে গত বছর নিয়োগ পান জুলফিকার আলী শাহ। বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকে উত্তরার আজমপুর পর্যন্ত নির্মাণকাজে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব ছিল তার। গার্ডার চাপায় পাঁচজনের মৃত্যুর মামলায় জুলফিকারকে গ্রেফতারের পর র‌্যাব জানায়, তার কোনো কারিগরি শিক্ষা নেই। তিনি এসএসসি পাশ করেই এত বড় প্রকল্পের সেফটি ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব পান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাবের কমান্ডার আল মঈন বলেন, সিজিজিসির ‘সেফটি ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে ৩৯ বছর বয়সী জুলফিকার ২০২১ সালে নিয়োগ পান। অথচ তিনি এসএসসি পাশ। এত বড় প্রকল্পের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার মত কোনো রকম প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বা প্রশিক্ষণ তার নেই। প্রকল্পের বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকে উত্তরার আজমপুর এলাকা পর্যন্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।দুর্ঘটনার দিনে ভারী গার্ডার স্থাপনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি কোনো ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী বসাননি। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত লোকও নিয়োগ করেননি।

পাঁচ বছরের এ প্রকল্প ১০ বছরেও শেষ না হওয়ায়- তা চরম গণভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঙ্গে ব্যয় বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। প্রকল্পের আকার এখন ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায় দাঁড়ালেও র‌্যাবের তথ্য বলছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি নিয়েই খরচ কমানোর চেষ্টা করে গেছে। দুর্ঘটনাস্থলে যে ক্রেনটি ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেটির বয়স অন্তত ২৬ বছর।

মঈন বলেন, ক্রেনটি ছিল ফিটনেসবিহীন। আর সেটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী (হেলপার)। হেলপারের কোনো লাইসেন্সও ছিল না। তার নাম রাকিব হোসেন। আর বাইরে থেকে তাকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন মূল ক্রেনচালক আল আমিন। ক্রেনচালক আল আমিনেরও ভারী ক্রেন চালানোর লাইসেন্স ছিল না।

এছাড়াও ক্রেনের সর্বশেষ ফিটনেস যাচাই করা হয়েছিল সর্বশেষ ২০২১ সালে। কিন্তু ২০২২ সালে ক্রেনের কোনো ধরনের ফিটনেস যাচাই করা হয়নি। রুবেল ৩ মাস আগে ও আফরোজ গত মাসে ফোর ব্রাদার্স গার্ডস সার্ভিস ট্রাফিক ম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক তাদের কোনো প্রশিক্ষণ ছিল না। দুর্ঘটনার সময় তারা দুর্ঘটনাস্থলে প্রকল্পের ট্রাফিকম্যান হিসেবে নিয়োজিত ছিলক বলে জানান মঈন।