সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় দেয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল ২০১৯ সালের অগাস্টের ১৯ তারিখ। একত্রিশ বার রায়ের তারিখ পেছানোর পরে ঢাকা জেলা ৭ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে রায় ঘোষণার জন্য ২০২১ সালের নভেম্বরের ১৫ তারিখ নির্ধারিত হয়। কিন্তু সেই তারিখেও রায় হয়নি। ঐ তারিখে জজ কেশব রায় চৌধুরী আদালতে বলেন, মডেল তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিমের স্বাক্ষ্য তিনি পুনরায় নিতে চান। নতুন তারিখ দেয়া হয় এই বছরের জানুয়ারীর ৫ তারিখ। ঐ তারিখে স্বাক্ষী সৈয়দ মাহবুবুল করিম আদালতে স্বাক্ষ্য দিলেও তার ভাই সৈয়দ রেজাউল করিম তার স্বাক্ষ্য শেষ করেননি। তার অসম্পূর্ণ স্বাক্ষ্য নেয়া হবে এ মাসের ২৩ তারিখে।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলানাথ দত্ত জানান যে, এটা সত্য এই মামলাটি রায়ের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষমান ছিল, তবে জজ ইচ্ছা করলে রায় না দিয়ে স্বাক্ষীদেরকে পুনরায় ডাকতে পারেন এবং আবার স্বাক্ষ্য নিতে পারেন। তিনি আরো জানান যে, এই মামলায় হত্যাকাণ্ডের কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ স্বাক্ষী পাওয়া যায়নি।
অনুপস্থিত আসামি গোলাম ফারুক অভির পক্ষে নিয়োজিত স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী ইলিয়াস রতন বলেন, মডেল তিন্নি আত্মহত্যা করেছিলেন। তিন্নি কোনো হত্যাকাণ্ডের শিকার নন। এই মামলায় গোলাম ফারুক অভিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জড়ানো হয়েছে।
এই মামলায় অভি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন, দেশে ফিরে সক্রিয় রাজনীতিতে পুনরায় যুক্ত হবেন, এবং নির্বাচন করবেন – এই প্রত্যাশা রয়েছে তার নির্বাচনী এলাকা বরিশাল-২ এর অনেকের মধ্যেই। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। ধারণা করা যায় যে, মামলাটির বিচারকার্য্য দীর্ঘায়িত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ প্রশাসনের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, অভি দেশে ফিরলে তাকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হবে। মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তাকে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।
অভির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে তিনি তাতে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। বিদেশে থেকেও সরকারি দলের অত্যাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সরব।