আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

মানবাধিকারের সবক দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রে গুম-খুন বাড়ছে


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ ১:৪৯ অপরাহ্ণ মানবাধিকারের সবক দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রে গুম-খুন বাড়ছে
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:

মানবাধিকার নিয়ে বুলি আওড়ানো যুক্তরাষ্ট্রেই দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে গুম-খুন। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্কে বাংলাদেশের মন্ত্রীরা এ সংখ্যা বছরে এক লাখ বললেও প্রকৃত সংখ্যা ৬ লাখের মতো। এর মধ্যে কিছু মানুষ ফিরে এলেও বেশিরভাগই নিখোঁজ। যা নিয়ে দিন দিন দেশটির নাগরিকদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। অন্যদিকে, পুলিশি নির্যাতনের মাত্রাও ছাড়িয়েছে সীমা।

দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম ইনফরমেশন সেন্টারের তথ্য বলছে, পুলিশের গুলিতে গত সাত বছরে নিহত হয়েছেন সাড়ে সাত হাজার মানুষ। অত্যাচারিত হওয়ার সংখ্যা কোটির কাছাকাছি।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতির মোড়ল। বিশ্বকে মানবাধিকারের সবক দেওয়া দেশটিতেই ঠিক নেই মানবাধিকার পরিস্থিতি। বাস্তবিক অর্থেই দেশটির পরিস্থিতি দিন দিন বেগতিক হচ্ছে। গুম, খুন, পুলিশি নির্যাতন যেন মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে গুম হন সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ মানুষ। কোনো কোনো বছর এ সংখ্যা ৭ লাখের উপরে থাকলেও ১৯৯৭ সালে ছিল ৯ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি। ১৯৯০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা বিশ্লেষণে তা স্পষ্ট। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ মার্কিন নাগরিকরাই।

শুধু তাই নয়, পুলিশি নির্যাতনের মাত্রাও চরমে পৌঁছেছে। সারাবিশ্বে মানবাধিকার রক্ষায় মার্কিনরা অত্যন্ত সোচ্চার অথচ তাদের দেশেই ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে পুলিশের গুলিতে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যার কোনো নির্দিষ্ট বিচার নেই। জর্জ ফ্লয়েডের মতো আরও কয়টি ঘটনা আলোচনায় আসে। ২০২০ সালের ২৫ মে মিনেসোটা শহরের মিনিয়াপোলিসে আফ্রিকান আমেরিকান ওই ব্যক্তির পুলিশের হাতে আটকের পর নির্মম মৃত্যুর ভিডিও ভাইরাল না হলে হয়ত এরও কোনো বিচারই হতো না। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র ধ্বংসের মুখে আছে বলে মনে করেন দেশটির প্রায় ৫৮ শতাংশ মানুষ। কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলিং ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক জরিপে এ শঙ্কার কথা বলা হয়েছে। সার্বিকভাবে এসব নিয়ে হতাশ প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।

সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, অন্যের বিষয়ে বলার আগে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নিজের সর্ষের ভেতরে আগে ভূত বের করা।

সূত্র: সময় টিভি