আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

আর কতটা ঝূঁকিপূর্ণ হলে সংস্কার করা হবে চরকাউয়া খেয়াঘাটটি


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২১ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ আর কতটা ঝূঁকিপূর্ণ হলে সংস্কার করা হবে চরকাউয়া খেয়াঘাটটি
Spread the love

মো: ফিরোজ গাজী ‍॥

ক্রমশয়ই অধিক ঝূকিপূর্ণ হয়ে উঠছে নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাটটি। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী কিংবা সাধারন মানুষ পারাপার হচ্ছে এই ঘাট থেকে। দীর্ঘদিন যাবত এই ঘাটটির বেহাল দশা। ধসে পরেছে ঘাটের অর্ধেকটা। তাই প্রশ্ন ওঠে আর কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হলে সংস্কার করা হবে চরকাউয়া খেয়াঘাটটি। দিনের বেলায়ই যেখানে পারাপারে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ, সেখানে রাতের বেলায় যে আরও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেটা নি:সন্দেহেই বলা যায়। দেখা গেছে ধসে পরা ঘাটের রডগুলো বেড়িয়ে আছে বিপদজনকভাবে। এই রডের ফাঁকে পা পড়লে যে কোনো সময় পাণহানিও হতে পারে।

এসব সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোনো উদ্যোগ। এছাড়াও রাতের বেলায় ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। একাধিক ট্রলার চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পারাপার হওয়ার সময় প্রায়ই ক্ষুব্ধ হন যাত্রীরা।
ট্রলারে উঠতে-নামতে যারা বেশি ভোগান্তিতে পড়েন তাদের অধিকাশংই নারী কিংবা শিশু। ঘাটটি যাতে দ্রুত সংস্কার করা হয় এমনটি দাবি ট্রলার চালকদেরও। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে বরগুনা ও বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো যথাক্রমে রাত ২টা থেকেই বরিশাল নৌ-বন্দরে আসে। বরিশালের পূর্বাঞ্চলের তথা ভোলা, লাহারহাট, নেহালগঞ্জসহ চরকাউয়া ইউনিয়নের লোকজনের যাতায়াত এই খেয়াঘাট থেকেই।

শীতকালীন নাব্য সংকটে পানি কম থাকায় ঘাটের খেয়াগুলো ভিড়তে হচ্ছে নীচের দিকে। একারণে ট্রলারে উঠা-নামা খুবই কষ্টসাধ্য। ঢাকা থেকে আসা সাব্বির নামের এক যাত্রী জানান, আমি স্টুডেন্ট মানুষ, প্রায়ই চাকরী সংক্রান্ত বিষয়ে ঢাকায় যাতায়াত করি। আমার বাড়ি টুঙ্গিবাড়িয়া। এই ঘাটে প্রায়শই ভোগান্তিতে পরি, কখন যে পা ফসকে রডের মধ্যে পড়ে যাই বলতে পারিনা, এটা নতুন করে নির্মাণ করা উচিৎ।

ভোলার উদ্দেশ্যে খেয়া পারাপার হওয়া এক নারীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার সাথে একটি বাচ্চা আছে, আমি মহিলা মানুষ, ট্রলারে ওঠার সময় কোনরকম যদি এই ফাকে পা পড়ে তাহলে কি অবস্থা হবে বুঝেন।

এ বিষয়ে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান জানান, এটাতো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তারপরেও আমরা দেখি কি করা যায়।

কথা হয় বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আহসান হাবিবের সাথে, তিনি দৈনিক আজকের বার্তাকে জানান, এটা আমরা ইজারা দেইনা। তারপরেও যেহেতু ব্যাপরটা জনদুর্ভোগের সেক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলে দেখি কিছু করতে পারি কি না।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো: ফারুক দৈনিক আজকের বার্তাকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। কাল (আজ) মাসিক সমন্বয় সভা আছে, সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।