কলাপাড়া সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥
আরপাঙ্গাশিয়া নদীর তীর দখল করে কলাম করে বহুতল স্থাপনা তোলার কাজ চলছে। ফ্রি-স্টাইলে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গোলগাছ রয়েছে তা কেটে সেখানেই তোলা হচ্ছে এমন স্থাপনা। যেন দখলদাররা দখল তান্ডবে নেমেছেন। ফলে নদী তীর বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে ম্যনগ্রোভ প্রজাতির গোলগাছ রয়েছে সেখানেই এই স্থাপনা তুলছেন। ফলে নদীটি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে।
আন্ধারমানিক নদীর বঙ্গবন্ধু কলোনীর পাশ দিয়ে শুরু হয়ে এই নদীটি মিশেছে আমতলীর পায়রা নদীতে। তবে এখন আমতলীর অধিকাংশ এলাকা ভরাট হয়ে গেছে। ভরাট হওয়া চর স্থানীয় ভূমি অফিস চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত দিয়েছে। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীতে এখন বর্জ্য ফেলার পাশাপাশি তীর দখল চলছে সমানতালে। কলাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় পাকা বহুতল একাধিক ভবনসহ টিনশেড অসংখ্য স্থাপনা তোলা হয়েছে নদীর তীরজুড়ে। নদীটির তীর দখল করে একাধিক ইটভাঁটি করা হয়েছে। এখন নাচনাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় নদীটির তীর দখল করে একের পর এক বহুতল স্থাপনা তোলা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে নদীর প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় তীরের ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছপালা কেটে তোলা হয়েছে স্থাপনা। সালাম মাঝি নামের এক ব্যক্তি বর্তমানে সেখানে কলাম করে একটি স্থাপনা তুলছেন।
ভূমি প্রশাসনের কলাপাড়া সদর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার) আব্দুল কাইয়ুম জানান, ওই জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তারপরও যেহেতু সরকারি সম্পত্তি তিনিও দেখছেন।
সালাম মাঝি জানান, এই জায়গা ভূমি প্রশাসনের নয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন জানান, ওই ব্যক্তিকে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে সকল নির্মাণ সামগ্রীসহ স্থাপনা আগামি সাতদিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। তা না করলে উচ্ছেদ করা হবে।