নিউজ ডেস্ক:
আসছে বোরো মৌসুমে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বা সংকটের গুজব ছড়িয়ে সারের দাম বৃদ্ধি করলেই ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সার মজুদের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, আসন্ন বোরো মৌসুমের জন্য দেশে সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। সঙ্কটের গুজব ছড়িয়ে কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
গত বছরের তুলনায় এই বছর অনেক বেশি সার মজুদ আছে জানিয়ে মন্ত্রী সার মজুদের হিসাব তুলে ধরেন, ডিসেম্বরে ইউরিয়া সারের ৩ লাখ ১৯০২ টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ রয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার টন, উদবৃত্ত ৫ লাখ টনেরও বেশি। এমওপির ১ লাখ ২৯১৮৫ টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ ৩ লাখ ১২ হাজার টন। ডিএপির চাহিদা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬১২ টন, মজুদের পরিমান ৫ লাখ ৯৬ হাজার টন। টিএসপির চাহিদা ১ লাখ ১৪ হাজার টন,সেখানে মজুদ ১ লাখ ৯২ হাজার টন।
সারের বাজারদর নির্ধারিত রাখতে আপাতত ৩০ দিন অব্যাহতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গুজব ছড়িয়ে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যেসব ব্যবসায়ী, ডিলার বা দোকানদার বেশি দামে সার বিক্রি করবে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে আমাদের মত দেশগুলোকে শোষণ করছে। আর এদিকে দেশে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে কোথাও কোথাও এলাকাভেদে বিচ্ছিন্নভাবে সারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরা কঠোরভাবে এটি মনিটর করছি, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছেন।
সার মজুদের সার্বিক দিক নিয়ে হওয়া এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, কৃষি সচিব মেসবাহুল ইসলাম, বিসিআইসি চেয়ারম্যানসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।