আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

মেঘনা-তেতুঁলিয়ায় নিষিদ্ধ জালে সয়লাব


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৪, ২০২১ ৩:৫২ অপরাহ্ণ মেঘনা-তেতুঁলিয়ায় নিষিদ্ধ জালে সয়লাব
Spread the love

লালমোহন (ভোলা) সংবাদদাতা:

ভোলার লালমোহন উপজেলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদী এখন সাত পদের নিষিদ্ধ জালে সয়লাব।

এসব নিষিদ্ধ জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধংশ হওয়ার পাশাপাশি মারা পরছে জলজ প্রাণীও ।

ঘাটের দালাল আর প্রভাবাশলী সুদি মহাজনদের ছত্র-ছায়ায় এই নিষিদ্ধ জাল অবাধে ব্যবহার করছে জেলেরা। মশারিজাল, ব্যাগজাল, খরচিজাল, পিটানিজাল, পাইজাল, বিহুন্দিজাল এর পর কারেন্ট জাল। এই সাত পদের জালে আটকা পরা রেনু-পোনাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় ভুষিমাছ। এই ভুষিমাছ উপজেলার হাট-বাজার ছাড়ও গ্রাম-গঞ্জে বিক্রি হয় ফেরি ওয়ালাদের মাধ্যমে। বিক্রেতারা গ্রামের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খুব সস্তায় এসব ভুষিমাছ (রেনু-পোনা) বিক্রি করে থাকেন। সচেতন মহল মনে করছেন, নিষিদ্ধ এই সাত পদের জালের ব্যবহার ঠেকাতে না পারলে ভবিশ্যতে দেশে মাছের আকাল দেখা দিবে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদী সংলগ্ন ১৮টি ঘাটে সুদের মহাজন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জেলেদের মাধ্যমে নিষিদ্ধ জালের ফাঁদ পেতে মাছের পোনা মেরে চলেছে। এর মধ্যে চাপলি মাছের নামে মেরে ফেলা হচ্ছে ইলিশের বাচ্চা। এছাড়া কাচকি মাছ ধরার নামে মারা হচ্ছে পোয়া, বাইলা, তাপসি মাছসহ কয়ে’শ মাছের প্রজাতি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সুদি মহাজন ও দাদনদারদের সাথে প্রশাসনের আঁতাত রয়েছে। প্রশাসনের লোকজন নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারীদের সাথে চোর-পুলিশ খেলা খেলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় নদীতে নিষিদ্ধ জালের বিস্তার দেখা গেলেও তা বন্ধ করা হচ্ছে না। মাঝে-মধ্যে কোষ্টগার্ড অভিযান করে কিছু জাল জব্দ করলেও নদী থেকে এসব জাল নির্মুল করা হয় না। নিষিদ্ধ জাল বন্ধ করতে কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল।

লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস বলেন, আমরা অভিযান করে যাচ্ছি এবং নিষিদ্ধ জাল আটক করে তা পোড়াচ্ছি। কিন্তু দালাল আর সুদের মহাজনদের কারনে মাছের পোনা ধংশ হচ্ছে। তাদের ধরতে কঠিন অভিযান চালানো হবে বলেও জানান মৎস্য অফিসার।