আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

ছেলে-নাতির মারধরে বৃদ্ধ দম্পতি হাসপাতালে


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০২, ২০২১ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ ছেলে-নাতির মারধরে বৃদ্ধ দম্পতি হাসপাতালে
Spread the love

নিজস্ব সংবাদ দাতা, কলাপাড়া:

জমি সংক্রান্ত বিবোধকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ দস্পতি বিমল চন্দ্র হাওলাদার (৬৫) ও উষা রাণীকে (৬০) পটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।

তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে মঙ্গলবার শেষ বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত দম্পতি এ হামলার জন্য তাদের ছেলে গোবিন্দ হাওলাদার ও দুই নাতিকে দায়ী করেছেন।

তবে গোবিন্দ হাওলাদার তার বাবা-মাকে মারধর করেননি বলে জানান।

পুলিশ জানায়, বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধরের সঙ্গে নাতিরা জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন।

আহত দম্পতি বিমল হাওলাদার ও ঊষা রানী জানান, তার তিন ছেলের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর আগে মেজ ছেলে গোবিন্দ তার মায়ের নামের সম্পত্তি কৌশলে লিখে নিয়ে। বড় ছেলে গোপাল দ্বিতীয় বিয়ে করে দুই ছেলে ও প্রথম স্ত্রীকে ফেলে রেখে অন্যত্র চলে গেছে। ঘটনার দিন ছোট ছেলে মধুসুদন তার বড় বৌদিকে জমি ক্রয়ের জন্য দেয়া ৫২ হাজার টাকা ফেরত চ্য়া। দুই বছর আগে তার নামের জমি ক্রয়ের জন্য এ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু সে জমি লিখে না দেয়ায় মধুসুদন ও তার বৌদি কল্পনা রানীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ছোট ছেলে ও মেজ ছেলেবউয়ের বিবাদ থামাতে বৃদ্ধ বিমল হাওলাদার এগিয়ে গেলে মায়ের পক্ষ নিয়ে দুই নাতি লিমন ও মিলটন মারধর করে। ঘুষি মেরে চোখ ও নাক ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্বামীকে মারধর থেকে বাঁচাতে তার বৃদ্ধা স্ত্রী ঊষা রানী এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে হাতের শাখা। ছেলে গোবিন্দ ও তার দুই নাতি এ মারধর করে বলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ বৃদ্ধ দম্পতি জানায়।

তবে অভিযুক্ত নাতি লিমন দিদাকে মারধরের কথা স্বীকার করেছে।

কিন্তু বাবা-মাকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছে ছেলে গোবিন্দ।

গোবিন্দের দাবি তাকে মামলায় ফাঁসানোর জন্য ছোট ভাই মধুসুদন বাবা-মাকে দিয়ে তার নামে মিথ্যা কথা বলাচ্ছে। থানার অভিযোগ মিথ্য বলে তার দাবি।

কলাপাড়া থানার এস আই নজরুল ইসলাম জানান, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ দস্পতিকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত দুটি অভিযোগ থানায় দায়ের করলে প্রাথমিক তদন্তে বৃদ্ধ দস্পতিকে মারধরের সত্যতা পেয়েছেন। সঠিক তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন।