আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

ঢাবির শতবর্ষ অনুষ্ঠান বর্জন করলেন নুর


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২১ ৪:১৫ অপরাহ্ণ ঢাবির শতবর্ষ অনুষ্ঠান বর্জন করলেন নুর
Spread the love

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কোনো পদক্ষেপ না নেয়াসহ নানা কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন নুরুল হক নুর।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি এ ঘোষণা দেন। নুরের দাবি, ডাকসুর অংশগ্রহণ না থাকায় ঢাবির শতবর্ষ অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘আগামী ১ ডিসেম্বর দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও গৌরবের সাথে জড়িত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এর শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা এ দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত আনন্দের একটি সংবাদ। বাংলাদেশ সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে এ জাতির ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে পথ দেখিয়েছে। শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসনসহ দেশের প্রতিটি পরতে পরতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে গর্ব এ দেশের সকল মানুষের।’

‘শিক্ষার্থীদের ঘিরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী নির্বাচিত ডাকসু নেই, যা শতবর্ষের অনুষ্ঠানে বড় একটি অপূর্ণতা। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিশ্চিত না করে শতবর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করা শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহিঃপ্রকাশ।’

নুর আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করতেও বর্তমান প্রশাসন চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সরকারি দলের বাইরে ঢাবির কৃর্তীমান সাবেক শিক্ষার্থীদের নিমন্ত্রণ না করা বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসনের সংকীর্ণ ও দলকানা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সামরিক স্বৈরশাসন বিরোধী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ৯০-এর সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের ডাকসু নেতৃবৃন্দকে নিমন্ত্রণ না করা ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবজ্ঞা ও অবহেলা ফুটে উঠেছে। যা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মর্যাদাহানিকর।

তিনি আরও বলেন, শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব ছিলো শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ দল-মত নির্বিশেষে দেশবরণ্যে ঢাবির কৃর্তীমান সাবেক শিক্ষার্থীদেরকে একত্রিত করা। বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে শতবর্ষের অনুষ্ঠানকে একটি সরকার দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করেছে। তাই সর্বশেষ নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি (ভিপি) হিসেবে আমি উক্ত অনুষ্ঠান বর্জন করছি। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রশাসনকে দলনিরপেক্ষ চরিত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাই।