আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

রোগীর চাপ বাড়লেই আইসিইউ সংকট শেবাচিম হাসপাতালে 


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৫:৪০ অপরাহ্ণ রোগীর চাপ বাড়লেই আইসিইউ সংকট শেবাচিম হাসপাতালে 
Spread the love
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রোগীর চাপ বাড়লেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সংকট দেখা দেয়। তবে এ থেকে পরিত্রাণ পেতে নতুন করে ৪০টি আইসিইউ বেডের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  বিষয়টি নিশ্চিত করে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আইসিইউর সংখ্যা ১২টি। এরমধ্যে চালু আছে ১১টি। আর অচল ১টি। হাসপাতালে সম্প্রতি করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আইসিইউর চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য নতুন ৪০টি আইসিইউ পেতে ঢাকায় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বাড়তি আইসিইউ পেলে বর্তমান সমস্যা কেটে যাবে।  এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মোট বেডের সংখ্যা ১৫০। যারমধ্যে কিছু বেডে চালু রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা।  এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালের করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে মোট ১২৫ জন রোগী রয়েছে। যারমধ্যে আইসিইউতে ১০ জন রোগী চিকিৎসাধীন।  গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ২ জন রোগী ও করোনা ওয়ার্ডে করেনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন।  করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া ২ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আর টি পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেবাচিম হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুর রাজ্জাক।  এদিকে গতকাল রোববার সকাল ৯টায় হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে মোট ৫৮ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে করোনা ওয়ার্ডে ৩৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন।    গত বছর থেকে এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৮১৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যারমধ্যে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ১ হাজার ১৩৭ জন। আর এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোট রোগীর মধ্যে ১৬২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩৯৯ জন রোগী উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে এ হাসপাতালের আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ৫৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।