Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
ঠাঁই নেই হাসপাতালে, ৫ দিনে ভর্তি সহস্ত্রাধিক ॥  লালমোহনে ডায়রিয়ায় দিশেহারা নিন্ম আয়ের মানুষ   - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

ঠাঁই নেই হাসপাতালে, ৫ দিনে ভর্তি সহস্ত্রাধিক ॥  লালমোহনে ডায়রিয়ায় দিশেহারা নিন্ম আয়ের মানুষ  


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৫:৪০ অপরাহ্ণ ঠাঁই নেই হাসপাতালে, ৫ দিনে ভর্তি সহস্ত্রাধিক ॥  লালমোহনে ডায়রিয়ায় দিশেহারা নিন্ম আয়ের মানুষ  
Spread the love
লালমোহন (ভোলা) সংবাদদাতা ॥
ভোলার লালমোহনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছে সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষ। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আক্রান্ত হয়ে তারা দলে দলে ছুটছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে । কিন্ত সেখানে জুটছে না পর্যাপ্ত চিকিৎসা। শয্যা সংকট আর স্যালাইন সংকটের কারনে দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই এসব মানুষের। জানাগেছে, গত ৫ দিনের ব্যবধানে অন্তত এক হাজার রোগী ভর্তি হয়েছে লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এর মধ্যে ১৭ এপ্রিলই ভর্তি হয়েছে সর্বোচ্চ দেড় শতাধিক রোগী। ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিঁিড় ফ্লোর এবং বারান্দার কোথাও যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। আক্রান্তরা চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়ে ঠিকমত পাচ্ছেনা স্যালাইন। এই স্যালাইন সংকট চলছে বাইরের ফার্মেসী গুলোতেও। নির্ধারিত মূল্যের দ্বীগুন তিনগুন টাকায়ও মিলছে না স্যালাইন। এই অবস্থায় আধা চিকিৎসা নিয়েই বাড়ি ফিরছেন অনেকে। আবার অনেকে যাচ্ছেন গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে। গ্রামের হাতুরে ডাক্তার আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসায় সুফল না পেয়ে আক্রান্তদের অনেকেকে ছুটতে হচ্ছে আবার ভোলা সদর হাসপাতাল এবং বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল পর্যন্ত। ১৮ এপ্রিল রবিবার সকালে উপজেলার লেজছকিনা গ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে লালমোহন স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ফ্লোরা বেগম (৩৫)। তিনি জানান, সীট না পেয়ে পথের মধ্যেই অবস্থান নিতে হয়েছে তাকে। ভর্তির পর স্যালাইন না পেয়ে বাহিরের ফার্মেসী থেকে তার অসহায় দরিদ্র পিতা আব্দুর রশিদ এক হাজার টাকায় দুই ব্যাগ স্যালাইন কিনেছেন। এমন অবস্থা প্রায় সব রোগীর। তবে উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের বেলায় রয়েছে ভিন্ন চিত্র। ডায়রিয়া আক্রান্ত উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে না। তারা নিজেদের চেষ্টা এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে চিকিৎসা নিয়ে তারা নিজেদের বাসা-বাড়িতে সেরে উঠছেন । লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও (আবাসিক মেডিকেল অফিসার) ডাঃ মহসিন খান জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই হিউজ পরিমান ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। এমনও রোগী আছে যার হাত-পায়ের চার স্থানেই কেনুলা পড়াতে হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় দ্বীগুন স্যালাইনও লাগছে অনেকের। তিনি আরো জানান, স্যালাইন সংকটের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আরএমও মহসিন খান আরো জানান, সাধারণ রোগীদের বাইরে অতিরিক্ত ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি । সচেতন মহলের অভিযোগ ; মাঠ পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম না থাকা এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো ডাক্তার শূণ্য থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো চালু রাখার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।