Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
আড়াই কোটি টাকার সিসি ক্যামেরা বাদ নতুন করে বসছে আরো ২শ ক্যামেরা - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

আড়াই কোটি টাকার সিসি ক্যামেরা বাদ নতুন করে বসছে আরো ২শ ক্যামেরা


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৫:২৮ অপরাহ্ণ আড়াই কোটি টাকার সিসি ক্যামেরা বাদ নতুন করে বসছে আরো ২শ ক্যামেরা
Spread the love
স্টাফ রিপোর্টার ॥
বরিশাল নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে আড়াই কোটি টাকায় স্থাপিত ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা এখন বাদ হয়ে গেলো। দীর্ঘদিন ধরে ক্যামেরাগুলো অচলভাবে পড়ে থাকার কারণে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপিত ২৬১টি ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়েছে। এই ক্যামেরাগুলো স্থাপন করেছিল বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। আর এই বিকল থাকারণ কারণে অপরাধী চক্রকে ধরতে বিপাকে পড়ছে পুলিশ প্রশাসন। অবশেষে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ নিজ উদ্যোগে আবার স্থাপন করলো ২শ ক্যামেরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধ রোধ বা অপরাধীদের লাগাম টেনে ধরতে এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। জানা গেছে, নগরবাসীর নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনা ঘিরে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। যার অংশ হিসেবে নগরী ৩০টি ওয়ার্ডে ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬১টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল তৎকালীন মেয়র আহসান হাবিব কামাল আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ক্যামেরা উদ্বোধন করেন। এমনকি ওই সময় এসব ক্যামেরা তদারকির জন্য ৮টি নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র স্থাপনের কাজ করেছিল বিসিসি। কিন্তু উদ্বোধনের পর দুই মাসের মাথায় এসব ক্যামেরার প্রায় ৮০ ভাগ সংযোগ তার (অপটিক্যাল ফাইবার কেবল) চুরি হয়ে যায়। আবার বেশ কিছু ক্যামেরায় কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে এসব ক্যামেরাগুলো সম্পূর্ণরুপে অচল হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে বরিশাল জনসার্থ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মানুওয়ারুল ইসলাম অলি বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনাটাই ভুল ছিল। এটা পুলিশ প্রশাসনের কাজ। যেটা এখন পুলিশ বিভাগ শুরু করেছে। মুলত কোন একটি উদ্যেশ্যে, কে বা কারা এই সিটি ক্যামেরা স্থাপণ করেছে, এটা খতিয়ে দেখা হোক। অর্থ অপচয় করার জন্যই হয়তো এই ক্যামেরা স্থাপণ করা হয়েছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো: ফারুক আহমেদ বলেন, অপটিক্যাল ফাইবার কেবল চুরি হওয়ার পর থেকে ক্যামেরাগুলো অচল রয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ আমাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এখন তারা সিসি ক্যামেরা বসাচ্চে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে জানান, অচল ক্যামেরাগুলো সচলের এখনো কোন পরিকল্পনা নেই। এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ(বিএমপি) এলাকার চারটি থানার আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ২শ সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এসব এলাকার অপরাধ দমন, অপরাধ সহায়কসহ নগরী জুড়ে অপরাধীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি মিছিল-মিটিং সভা সমাবেশের মাধ্যমে অরজগতা সৃষ্টিকারীদের সনাক্ত করার লক্ষে এই ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোড, গীর্জ্জা মহল্লা, চকবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এই সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, আধুনিক বিশে^ আজকাল অনেক ঘটনাই এই সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। এই ক্যামেরাগুলো স্থাপন করার কাজ সম্পূন করা হলে নগরীর ভিতর আপরাধ, দমন আপরাধ নিয়ন্ত্রন করার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একই সাথে ক্যামেরার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন চিহ্নিত অপরাধীদের সনাক্ত করা ও যে কোন অপরাধকারীদের চিহ্নিত করতে সিসি ক্যামেরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একই সাথে প্রায় সময় দেখা যায় নগরীতে মিছিল-মিটিং ও সভা সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলাকারী অরজগতা সৃষ্টি করা ব্যাক্তিদেরকে সহজেই চিহ্নিত করতে সুবিদা হবে।