স্টাফ রিপোর্টার ॥
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে শুরু হচ্ছে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা। রোববার মধ্যরাত থেকে আগামী বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত আট মাস ২৩ দিন এসব বিধিনিষেধ পালিত হবে। অবশ্য প্রতি বছরই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ পদক্ষেপের প্রথম ধাপে জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞাথেকে কার্যকর হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল দপ্তরের মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত আকারের (প্রায় ১০ ইঞ্চি) ইলিশকে জাটকা হিসেবে গণ্য করা হয়। নদনদীতে গত তিন-চার মাসের মধ্যে যেসব মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে, তাতে জন্ম নেওয়া ইলিশের আকৃতি এখন ২৫ সেন্টিমিটারের মধ্যেই আছে। জন্মের পর থেকে এক বছর বেঁচে থাকতে পারলে সেটি কমপক্ষে ১২ ইঞ্চি বা এক ফুট আকৃতির বড় ইলিশে পরিণত হবে।
এ জন্য প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা নিধনে আট মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ সময় জেলেরা ৫ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার কম ফাঁসের জাল ব্যবহার করলে জেল-জরিমানা করা হবে। মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় দপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুস সালেহীন বলেন, আট মাসের নিষেধাজ্ঞা পালনের জন্য জেলেদের প্রণোদনা হিসাবে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চার মাসে ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়। বরিশাল বিভাগে তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন তিন লাখ ৯৩ হাজার ১৯১ জন। গত বছর চাল সহায়তা পেয়েছিলেন দুই লাখ ৩২ হাজার ৭১ জন জেলে। এবারও তারা এ সহায়তা পাবেন।