Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114 বরিশাল মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডের সংকট নিরসনে জরুরি বৈঠক - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের সমস্যা ও সংকট নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছেন স্থানীয় শীর্ষ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সমস্যা সমাধানের জন্য রবিবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এবং সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক হাসান। মেডিকেলের নবনিযুক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান শাহিন এবং সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় হাসপাতালের মূল ভবনের এবং করোনা ইউনিটের সমস্যা ও সংকট তুলে ধরেন চিকিৎসকরা। তারা জানান, এই হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসক, এমএলএসএস ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং আইসিইউ টেকনিশিয়ানের চরম সংকট রয়েছে। করোনা ইউনিটে এখন পর্যন্ত লিফট চালু না হওয়ায় রোগীদের ওঠানামা করতে সমস্যা হচ্ছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার ওঠানামা করতে করতে করোনা ইউনিটের নতুন ভবনের সিড়িটি ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। গত ১ বছর ধরে সিটি করপোরেশন ময়লা অপসারন না করায় পুরো হাসপাতাল ক্যাম্পাস ময়লার ভাগারে পরিনত হয়েছে। এ সব সমস্যার আশু সমাধান করা না হলে শের-ই বাংলা মেডিকেলে প্রত্যাশিত চিকিৎসাসেবা পাওয়া সম্ভব নয় তারা বিভাগীয় কমিশনারকে অবহিত করেন। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল আগামী ১০ দিনের মধ্যে শের-ই বাংলা মেডিকেলের এসব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। করোনা ওয়ার্ডে নতুন ২টি এবং পুরনো ভবনে ২টি লিফট দ্রুত চালু, আগামীকাল থেকে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে মেডিকেল বর্জ্য অপসারন এবং আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগকৃত জনবল দিয়ে আপাতত সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ সময় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলা হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেড, বরগুনা হাসপাতালে ১০টি, পিরোজপুরে ৫টি, ঝালকাঠীতে ৫টি এবং ভোলা জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। জেলা হাসপাতালগুলোতে হাই ফ্লো ন্যাজল ক্যানোলা দিয়ে মুমূর্ষু রোগীদের সেবা অব্যাহত রাখা হচ্ছে। এসব হাসপাতালে ন্যাজল ক্যানোলা বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। সভা শেষে হাসপাতালের মূল ভবন এবং করোনা ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।