Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
লকডাউনে তরমুজের বাজারে ক্রেতা সংকট  - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

লকডাউনে তরমুজের বাজারে ক্রেতা সংকট 


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ লকডাউনে তরমুজের বাজারে ক্রেতা সংকট 
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্রেতা সংকটের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলায় চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজের চাহিদাও কমে গেছে। এছাড়া ক্রেতা কমে যাওয়ায় কারণে অনেকের মজুদ করা তরমুজ পচন ধরতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। তরমুজ ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধানখালী, চম্পাপুর, লতাচাপলী, ধুলাসার ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এ বছর তরমুজের ব্যাম্পার ফলন হয়েছে। মূলত: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক এর সুফল পেয়েছে। লগডাউনের আগে অন্তত: অধিকাংশ চাষি তাদের ক্ষেত বিক্রি করতে পেরেছে বিধায় চাষিরা ভাল দাম পেয়েছে তরমুজ’র। তবে খুচরা বিক্রেতারা ট্রাক মূলে তরমুজ ক্রয়ের পর হঠাৎ লগডাউন’র ঘোষণা আসায় পৌর এলাকায় লোক সমাগম কমে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে ক্রেতা সংকট। তরমুজ ব্যবসায়ী ইউনুচ বলেন, লকডাউন কারণে ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। দুই চারটা যা বিক্রি করছি তাও ভাল দাম পাচ্ছি না। ব্যবসায়ী মো. জলিল জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে তরমুজ কিনেছেন। বিক্রি কম হওয়ায় তার কিছু কিছু তরমুজে পচন ধরেছে। অপর তরমুজ ব্যবসায়ী মো. আনসার আলী জানান, ‘হঠাৎ খাওতা কমে গেছে। কাঁচা মাল মজুদ করারও কোন সুযোগ নেই। তার অন্তত: সহস্রাধিক পিস তরমুজ কেনা ছিল।’ লগডাউনের পর থেকে ক্রেতা কমে যাওয়ায় তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি। আগে ভাগেই তরমুজ ক্ষেত কিনে বিপাকে পড়েছি। বিক্রি করে উঠতে পারলে ভাল। না হয় লোকসান’র বোঝা বহন করতে হবে বলে এই তরমুজ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। কলাপাড়া বন্দর সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন বিপু বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সারা দেশের ন্যায় কলাপাড়ায় চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাহিরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজের চাহিদাও কমে গেছে। ফলে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের শঙ্কা রয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, এ উপজেলা ১৫’শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। লকডাউনের আগে ভাগেই চাষিরা ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করে দিয়েছে। ওইসময় তারা দামও ভাল পেয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।