আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

তোয়াক্কা নেই স্বাস্থ্যবিধির করোনার ঝুঁকিতে ভান্ডরিয়ার ঈদ বাজারে ভীড়


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: মে ০৯, ২০২১ ৫:৪০ অপরাহ্ণ তোয়াক্কা নেই স্বাস্থ্যবিধির করোনার ঝুঁকিতে ভান্ডরিয়ার ঈদ বাজারে ভীড়
Spread the love

মামুন হোসেন ভা-ারিয়া (পিরোজপুর) ॥
আর ক‘দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরই মাঝে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও ডায়েরিয়ার প্রকোপের তা-ব চলছে বিরামহীন ভাবে। এসব ঝুঁকি থাকলেও পিরোজপুরের ভা-ারিয়া বাজারে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। শহরের বিপণি বিতানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব না বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। গতকাল রবিবার (৯ মে) সকালে শহরের বিপণী বিতানগুলোতে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না ক্রেতারা-বিক্রেতারা। ঈদের পোশাক সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। তবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপও নজরে পরেনি। বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে আসা বিউটি বেগম বলেন, ঈদে নিজেদের জন্য না হলেও বাচ্চাদের জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েও বাজারে এসেছি। ঝুঁকি নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা একাধিক ক্রেতাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, দোকানে ভিড়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না। ঈদে বাচ্চাদের জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়ে তারাহুরা করে বাজারে এসেছি। মাস্ক আনতে ভুলে গেছি। দোকান মালিক আবুবকর জানান, ‘আমরা স্বাস্থবিধি মেনে চলছি। তিনি বলেন,ক্রেতাদের দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করলে ‘কেউ মানছে আবার অনেকে মানছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ বেল্লাল হোসেন বলেন, মহামারি করোনা থেকে বাঁচতে গেলে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। মাস্ক বিহীন চলাফেরায় সংক্রমন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সবাইকে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত ও যে কোন মুল্যে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করতে হবে। ভা-ারিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান নিপু জোমাদ্দার বলেন, ঈদ উপলক্ষে সব দোকানেই বেচা-কিনা জমে উঠেছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কেনা-বেচা করছেন। বাজারে আসা ক্রেতাদের মাস্ক ব্যাবহারে অনুরোধ করছেন তারা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য সচেতনতা চালিয়ে যাচ্ছি এবং মাঠে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করছেন। তবে, এমন হলে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য : এ উপজেলার পৌর শহরে বড় মার্কেট থাকায় ভা-ারিয়া উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ ছাড়াও প্রতি বছর ঈদের মৌসুমে কেনাকাটার জন্য ছুটে আসেন পাশবর্তি রাজাপুর,কাঠালিয়া,মঠবাড়ীয়া ও কাউখালী উপজেলার বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ ক্রেতা। এ কারনেই এই ঈদ বাজারে বেশী ভিড় হয় বলে স্থানীয়দের বক্তব্য।