আমতলী প্রতিনিধি ॥

আমতলী থানার পূর্ব চিলা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভাই- বোনকে হত্যার চেষ্টায় হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তারা স্বর্ণ অলংকার সহ ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আমতলীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় তাদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতরা হলো, ওই এলাকার ওয়াদুদ হাওলাদারের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক ও  মেয়ে মোরশেদা বেগম। এদের মধ্যে আবু বকরের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তবে অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহতের বাবা ওয়াদুদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে ওয়াদুদের বাবা মোতালেব হাওলাদার এর সাথে প্রতিবেশী মৃত মোসলেম হাওলাদারের ছেলে নুরুল ইসলাম গংদের পূর্ব শত্রুতার চলে আসছে। মোতালেব হাওলাদার এর জমি জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা করে আসছে নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সহযোগী মনির,নজির ইমরান, বাইজিদসহ তাদের গংরা। বিষয়টি নিয়ে মোতালেব স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তাতে নুরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। প্রায় সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মোতালেব ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভয়-ভীতির সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে নুরুল ইসলামের পরিবার। ঘটনার দিন সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওয়াদুদের ছোট ভাই প্রবাসী জাহিদুলের ঘর জোরপূর্বক জবরদখল সব ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় মনিরসহ তাদের সহযোগীরা। এ সময় ওয়াদুদের ছেলে আবু বকর বাধা দিতে আসলে মনিরের সাথে তার দ্বন্দ্ব হয় একপর্যায়ে এরই জের ধরে  মনির, বাইজিদ, সহ আফাজ নজির, ইমরান, খাদিজা, নাজমা, রেহানা, মৌসুমী, জান্নাতি খুকি রহিমা পরিকল্পিতভাবে আবু বকর সিদ্দিক কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। তাকে বাঁচাতে আবু বকরের বড় বোন মোরশেদা বেগম আসলে তাকে পিটিয়ে আহত করেন মনির সহ অন্যান্যরা। স্থানীয়রা আহত কে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক আমতলীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় । পরে এদের মধ্যে আবু বকরের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মামলার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে স্বজনরা জানান।