Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114 আগৈলঝাড়ায় বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষক কৃষাণীরা - আজকের বার্তা
কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল বোরো ধান কৃষকের গোলায় উঠতে শুরু করায় বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কৃষকের মনে বইছে এখন আনন্দের বন্যা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দোলন চন্দ্র রায় জানান, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ৯ হাজার ৩শ হেক্টর জমি ইরি-বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে চাষাবাদ শুরু করা হলেও এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১শ ৫০হেক্টর জমি বেশী আবাদ করেছেন কৃষকেরা। চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ ছিল ৫০ হাজার ৪শ ৫০ মেট্টিক টন। যার মধ্যে ৪৮ হাজার ৪শ মেট্টিক টন হাইব্রীড ও ২০৫০ মেট্টিক টন উফসী জাতের চাল। এবছর ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে উপজেলায়। ইতিমধ্যে বাগেরহাট, খুলনা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ীসহ দূরবর্তী জেলা থেকে আগত শ্রমিকরা এসব উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে কৃষকের পাকা বোরো ধান কাটতে শুরু করেছেন। এমনকি মেশিনের সাহায্যে চলছে ধান কর্তনের কাজ। এছাড়াও স্থানীয় গ্রামীণ কৃষক-কৃষানীরা সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকা ধান কর্তন, ঝাড়াই-মাড়াই, সিদ্ধ ও গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত কুটো শুকাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। ধান কাটতে আসা একাধিক শ্রমিকরা জানান, দেশি প্রজাতির ধানের চেয়ে এবছর হাইব্রিড ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের (শ্রমিক) শ্রমমূল্যে পুষিয়ে নিতে পারবেন। আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দোলন চন্দ্র রায় জানান, ইতোমধ্যেই শতকরা ৮০ভাগ ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে। এবছর খরের কোন ঘাটতি হবেনা বলেও জানান তিনি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত জানান, চলতি বোরো মৌসুমে বরিশাল জেলায় ৫২ হাজার ৮শ’ ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ২৫ হাজার ১৪২ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ২৫ হাজর ১০ হেক্টর জমিতে উফসি ও দুই হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো আবাদ হয়েছে। তিনি আরও জানান, গত বছর কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্যে পাওয়ায় এবছর অনাবাদি জমিগুলোও বোরো চাষের আওতায় এসেছে। ফলে জেলায় বোরোর কাঙ্খিত লক্ষামাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।